
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে জাঁকিয়ে ঠান্ডা বাংলাতে! বছর শেষে একেবারে রেকর্ড ভেঙে উষ্ণ ডিসেম্বর দেখেছে রাজ্যের মানুষ। এই অবস্থায় ঠান্ডা পড়বে কিনা তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিল। তবে ঠান্ডার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে শহরের তাপমাত্রা ইতিমধ্যে ১০ ডিগ্রির পারদ ছুঁয়েছে। সঙ্গে একেবারে উত্তরের হাওয়া।তবে উত্তরের হওয়া দাপট দেখাচ্ছে দুই বঙ্গেই। আর চলতি সপ্তাহে থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ দেখা গিয়েছে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলিতেও।
এই মুহূর্তে বড়সড় আপডেট দিল আবহাওয়া দফতর। হাওয়া ভবন জানিয়েছে, আপাতত এই কনকনে ঠাণ্ডার দাপট বজায় থাকবে বাংলায়। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রার পারদ আরও নামতে পারে। শুধু তাই নয়, আবহাওয়া দফতর একাধিক জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে।
আরো আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরও কয়েকদিন থাকবে এই কনকনে ঠাণ্ডার দাপট। মঙ্গলবার পর্যন্ত আবহাওয়াতে কোনও রকম পরিবর্তন নেই। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার দাপট থাকবে। এমনকি তাপমাত্রা ০.৫ বা ১ ডিগ্রি উপর-নীচ হতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস। পাশাপাশি কয়েকটি জেলায় ঘন কুয়াশা থাকতে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ৩ জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মালদহ ও উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটা কমবে বলেও সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি কমে যাবে। উত্তরের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও রয়েছে শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার নতুন বছরের সপ্তাহান্তে স্বাভাবিকের নিচে থাকবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকালে হালকা কুয়াশা থাকলেও, বেলা বাড়লে পরিষ্কার হবে আকাশ। বাতাসের গতিবেগের ১০-২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হতে পারে। কলকাতায় সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে তাপমাত্রা। কিন্তু জেলার দিকে দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে পুরুলিয়া কাঁপন ধরাচ্ছে শীত। ওই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পরই বীরভূমে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কার্যত ঠান্ডায় কাঁপছে সারাদেশ। পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে ইতিমধ্যে বরফ পড়তে শুরু করেছে।যার প্রভাব উত্তরের সমতলের একাধিক জেলাতে পড়েছে। আগামী কয়েকদিন উত্তরের জেলাগুলিতেও ঠান্ডার আমেজ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকবে বলেও খবর।শুধু বাংলাই নয়, দেশজুড়ে কম্পন। দেশের একাধিক প্রান্তে শৈত প্রবাহের অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।