
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্তে বঙ্গে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল৷ প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই আবাস যোজনায় অনিয়ম নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি৷ প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি৷ নাম জড়িয়েছে একাধিক ঘাষফুল শিবিরের নেতার৷ তা নিয়ে সরব হয়েছেন বাম ও বিজেপির নেতা-কর্মীরাও৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই আবাস যোজনার অনিয়ম খতিয়ে দেখতে রাজ্যে হাজির হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
মালদহের কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের বাঙ্গীটোলা এলাকায় আবাস যোজনার ঘর দেখতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ এলাকায় কাঠ ব্যবসায়ী দোতলা বাড়ির মালিক জরিপ সেকের নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়। তা দেখে রীতিমত চক্ষু চড়ক গাছ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের৷ কীভাবে তাঁর নাম তালিকায় তা জানতে চান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। একই রকম অবস্থা সম্পন্ন একাধিক পরিবারের নাম তালিকায় চিহ্নিত করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
বিরোধীদের দাবি, যারা প্রকৃতই ঘরের যোগ্য তারা ঘর পাক, যাদের ঘর রয়েছে তাদের নাম বাদ দেওয়া হোক। যে সমস্ত ব্যক্তিদের লিস্টে নাম নেই এবং তাদের ঘর নেই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হোক। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে এবং যাদের নাম আছে ইতিমধ্যে সমস্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে দাবি রাখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
আবাস যোজনার তালিকায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর নির্দেশে নতুন করে ব্লকে ব্লকে সমীক্ষার কাজ শেষের পথে৷ তারপরেও বহুক্ষেত্রে শাসক ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে আসার ঘটনা সামনে আসছে৷ স্বভাবতই, ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী৷ কাজে গাফিলতি হলে কাউকেই রেয়াত না করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন তিনি৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে যে বা যাদের কাজের গাফিলতি স্পষ্ট হবে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে তাঁদের৷