
৯৯ বাংলা ডেস্ক : গতকাল বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচনের দিন। তিন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে ত্রিপুরা। নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই রাজ্যগুলিত্তে যাতে সুষ্ঠু ভাবে ভোট পরিচালনা হয় সেই দিকেই নজর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা বুধবার জানিয়েছেন রাজ্যের প্রবীণ নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য ভোটদানের ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা থাকছে।
ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন আসন্ন ভোটে রাজ্যের প্রবীণ নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা বাড়িতে বসেই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। সিইওর মতে, ঘর থেকে ভোটদানের বিকল্পটি শুধুমাত্র ৮০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের উপর জোর দিয়ে, ত্রিপুরার সিইও বলেছেন, “পর্যাপ্ত সংখ্যক কেন্দ্রীয় সশস্ত্র আধাসামরিক বাহিনী রাজ্যে পৌঁছেছে এবং তারা রাতেও টহল দিচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। ৮০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে ভোট দেওয়ার বিকল্প থাকবে।” যদিও প্রবীণদের কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা যেকোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই করে থাকে কমিশন। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয় ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগরতলা পুলিশ শহর জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সদরের মহকুমা পুলিশ অফিসার এ কে দাস জানিয়েছেন, “অবৈধ নগদ অর্থ, অস্ত্র, মাদকদ্রব্য এবং অন্যান্য সামগ্রীর চলাচল যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা ১৪টি নাকা চেকিং পোস্ট স্থাপন করেছি।”
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুসারে, ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এবং নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরে নির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারি হবে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ২রা মার্চ ঘোষণা করা হবে। ৬০ টি বিধানসভা আসনের জন্যই তিন রাজ্যে হবে নির্বাচন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বুধবার নির্বাচনে দিন ঘোষণার আগে আগের চেয়ে আরও বেশি আসনে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। চলতি বছরে নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, ত্রিপুরা সহ আরও ৯ রাজ্যে হবে নির্বাচন। এই ভোট উৎসবকে কেন্দ্র করেই উত্তাপ বাড়ছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে।