
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : বিপদ ঘন্টা উত্তরাখণ্ডের যোশী মঠে। একের পর এক মন্দির আর বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সেখানকার বাসিন্দারা। ধর্মী এবং সাংস্কৃতিক ছাড়াও ভারত-চিন সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল যোশী মঠ। সেখানকার অধিকাংশ বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় তাঁদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
রবিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ফোনে এই আশ্বাস দেন মোদি।এই আবহেই এবার জরুরি বৈঠক ডাকল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় উত্তরাখণ্ডের ডুবন্ত শহর জোশীমঠের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে আজ বিকেলে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য সচিব পিকে মিশ্র, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্যদের সাথে একটি উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। জোশীমঠের জেলা আধিকারিক এবং উত্তরাখণ্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। জোশীমঠের ভূমিধস মোদী সরকারের কাছে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ির দেওয়াল এবং উঠানে দেখা দিয়েছে ফাটল, ঠিক যেমনটা ভুমিকম্প হলে তৈরি হয়।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি শনিবার জোশীমঠে গিয়েছিলেন পরিস্থিতির খতিয়ে দেখার করার জন্য।একদিন পরে তিনি প্রায় ৬০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকি শহরটিকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।বছরের পর বছর ধরে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে এসেছেন যে জোশী মঠ এবং এর আশেপাশে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সহ বৃহৎ আকারের নির্মাণ কাজ ভূমির তলিয়ে যেতে পারে। সেটাই হচ্ছে এখন।প্রায় ১৭ হাজার জনসংখ্যার একটি শহর জোশীমঠ হল বদ্রীনাথ এবং হেমকুন্ড সাহেবের মতো হিন্দু এবং শিখ মন্দিরগুলির তীর্থস্থানগুলির একটি প্রবেশদ্বার।
উল্লেখ্য,এরপরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি বড় বৈঠক হতে যাচ্ছে এই পরিস্থিতি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই সংকটের ভয়াবহতা এবং তা মোকাবেলার উপায় নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু বাড়ি এবং রাস্তাতে বড় ফাটল দেখা দেওয়ায় যোশীমঠে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে গত দু’দিনে। বিষয়টি নজরে আসার পর বিলম্ব না করে সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।