
বিশ্বজিৎ সাহা,রতুয়া, ২৬ জানুয়ারি : হাই মাদ্রাসা নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। বুধবার রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক ও মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে ছোঁচা ছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন রতুয়া-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ফজলুল হোক। রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমুনি-২ পঞ্চায়েতের বাটনা হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন আগামী ২৯শে জানুয়ারি। এই মাদ্রাসার লড়াই তৃণমূল বনাম তৃণমূলের। শাসকদলের দুই গোষ্ঠী মিলিয়ে মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেছেন। সিপিএম কংগ্রেস এবং বিজেপি এরা কোন প্রার্থী দিতে পারেনি। অর্থাৎ শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই হতে চলেছে। তৃণমূলেরের এক গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে জেলার চেয়ারম্যান সমর মুখার্জি ও জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি। অন্যদিকে অপর গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ফজলুল হক, তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ হেসামুদ্দিন ও আব্দুল হামেদ। নিজেদের প্রার্থীর হয়ে মাদ্রাসা ভোট প্রচারে গত রবিবার এক নির্বাচনী জনসভা করেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী গোলাম রাব্বানী। বুধবার বিকেলে তার পাল্টা সভা করেন শাসক দলের আরেক গোষ্ঠী।
প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ফজলুল হক বলেন এই প্রার্থী টাই হচ্ছে তৃণমূলের প্রার্থী। বাকি তৃণমূল প্রার্থীর কথা বলতে আমরা চাই না। আদি তৃনমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ছ,জন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। তৃণমূল কংগ্রেস হচ্ছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস। রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখার্জী এবং জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসির উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের কাছে ২০১৮ সালে হেরে যাওয়ার পর তারা দলে এসেছে। দুই মামা ভাগ্না ডিভাইডেড রুল পলিসি করে দলে টিকে থাকতে চাইছে। এরা হচ্ছে সিজিনালি বার্ডস। এরা এসেছে কখন চলে যাবে তার কোন ঠিক নেই।
জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনুমোদিত ছ,খানা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে সিপিএম কংগ্রেস ও বিজেপি একত্রিতভাবে তারা প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকে নিয়ে যারা জনসভা করছে তাদের প্রশাসন ও দলীয়ভাবে চিহ্নিত করণ করার চেষ্টা করছি।
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সি পি এম এর এরিয়া কমিটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম, তিনি বলেন তাদের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের একটাই কারন লুটের বোখরা, যার দখলে এলাকা থাকবে সে লুট করতে পারবে। গোটা রাজ্যে যা করছে এখানেও তাই ঘটছে। আমাদের প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে নমিনেশন প্রত্যাহার করিয়েছে।
আগামী কয়েক মাস পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল কতটা প্রভাব পড়বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু সময়ের অপেক্ষা।