
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক:দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচী সফল করতে গিয়ে এবার দলেরই কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন তিন তৃণমূল কর্মী।মারধরের অভিযোগ উপপ্রধানের বিরুদ্ধে।বুদবুদের এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী সহ দুই জনকে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বুদবুদ বাজারে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বুদবুদের গলসি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বুদবুদ এলাকায় দিদির রক্ষাকবচ কর্মসূচী উপলক্ষ্যে এক গুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।উপস্থিত থাকবেন রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ।বুদবুদ বাজারে এই কর্মসূচিকে সফল করার ডাক দিয়ে তিন তৃণমূল কর্মী এলাকা জুড়ে পতাকা লাগাচ্ছিলেন।আচমকাই তৃণমূল পরিচালিত বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডু ওরফে মনা কুন্ডু ও তার দলবল বুদবুদ বাজারে এসে ওই তিন তৃণমূল কর্মীকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ।গুরুতর জখম তিন জনকে তড়িঘড়ি মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।জখম তিন তৃণমূল কর্মীর মধ্যে একজন স্থানীয় বুদবুদ পঞ্চায়েত সদস্য রেখা সাউয়ের স্বামী রাকেশ সাউ।
দিদির রক্ষা কবচ কর্মসূচী শুরুর আগে এই ঘটনার জেরে বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদি দলের নেতাদের হাতে দলের পতাকা লাগানোর জন্য মার খেতে হয় তাহলে এই দলটা আর করবো কিনা সেটা নিয়ে আরো একবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের। আক্রান্ত তিন দলীয় কর্মী গলসি এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জীর অনুগামী, জনার্দন চ্যাটার্জীর হয়ে কাজ করা যাবে না এই ফতোয়া দিয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডু হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হয়েছে বলে জানান, গলসি এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জী।
আবাস যোজনার বাড়ি চাইতে গিয়ে ওই উপপ্রধানের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল বুদবুদের সুকান্ত পল্লী পূর্ব পাড়ার মানুষজনকে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের দলীয় কর্মীদের মারধর করার ঘটনাকে ঘিরে এখন সাধারণ মানুষকে দিদির রক্ষাকবচ দিতে খোদ দলীয় কর্মীরা সুরক্ষাহীন হয়ে পড়াতে বিড়ম্বনায় ঘাস ফুল শিবির। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন উপপ্রধান।তাঁর অভিযোগ,পুরোটাই নাটক করছে।
বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন, দিদির যে সুরক্ষা কবচ , সেই সুরক্ষা কবচ তার দলের কর্মীদেরই রক্ষা করতে পারছেনা। সাধারণ মানুষকে কীভাবে রক্ষা করবে।এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।