
দিব্যেন্দু ঘোষ, ৯৯ নিউজ বাংলা : গত ১ বছরের বেশী সময় ধরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক জট খুলতে শুরু করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। এজলাস বদল হতেই দুর্নীতির নয়া ছবি ধরা পড়ল আদালতে। যা দেখে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুধুমাত্র একজন, দু’জন নয়, নিয়োগ দুর্নীতির জালে জড়িয়ে ২৩ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যার ফলে বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
একাধিক অভিযোগে পাহাড় গড়েছে এস এস সি। ২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটিমাত্র পরীক্ষা হয়েছে। কয়েক দফায় মোট নিয়োগ হয়েছে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের। যার মধ্যে নবম ও দশমে নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার। এছাড়াও গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্ত চাকরি যথাযথ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে এখার জন্য জেলা পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এবার জেলা পরিদর্শকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্দ বিচারপতি।
এদিন বিচারপতি বলেন, জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যুক্ত না থাকলে এই ধরনের দুর্নীতি হতে পারে না। একজন ভুয়ো শিক্ষক ২-৩ বছর চাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন। জেলা স্কুল পরিদর্শকরা না জানলে কীভাবে এটা সম্ভব? বুধবারই সিআইডি ডিআইজিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি। এদিন তাঁর উপস্থিতিতে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেন বিচারপতি। সিআইডি ডিআইজির নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত হবে।
উল্লেখ্য, মুর্শিদবাদ ভুগোলের শিক্ষক হিসেব কর্মরত রয়েছেন এক শিক্ষক। এক চাকরি প্রার্থী আরটিআই করে জানতে পারেন ভুগোলের বিষয়ে তিনি পরীক্ষা দেননি। এমনকি তাঁর নামের কোনও সুপারিশ করা হয়নি।
আরটিআই করে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে দেখা গেছে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয় অরবিন্দ মাইতির নামে আরও এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি পেয়েছেন ওই ভুগোলের শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি। যা দেখেই হতবাক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
কিভাবে চাকরি নকল করা হলো তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলছেন বিচারপতি।