
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: আইএস জঙ্গিদের পেন ড্রাইভে দেশের একাধিক শীর্ষ নেতার ছবি। গোয়েন্দাদের ধারণা, ওই শীর্ষনেতারাই টার্গেট ছিলেন আইএস জঙ্গিদের। তাই সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে কলকাতা-সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে হাই এলার্ট জারি পুলিশের। বিষয়টি নিয়ে আরও নিশ্চিত হতে আইএস তিন অভিযুক্ত জঙ্গিকে হেফাজতে রেখে জেরা করছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স।
প্রসঙ্গত, হাওড়া থেকে কলকাতায় বৈঠক করতে এসে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয় মহম্মদ সাদ্দাম ও সায়েদ আহমেদ। তাদের বিরুদ্ধে কলকাতায় বসে আইএস কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ ওঠে। তাদের জেরা করেই মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার হয় মহম্মদ রাকিব কুরেশি নামে আইএস জঙ্গিদের মাথা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল, পেন ড্রাইভ ও ল্যাপটপ ঘেঁটে বেশ কিছু নথি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তারই ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত যে, নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও নাশকতা চালানোর ছক কষে তারা।তারই ভিত্তিতে এদিন পুলিশ হেফাজত থেকে আইএস-এর কুরেশিকে ফের আদালতে তুলে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নেয় তদন্তকারীরা। ওই দিন সাদ্দাম ও সায়েদের সঙ্গেই তাকে আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি তিনজনকেই নিজেদের হেফাজতে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ।
লালবাজার জানিয়েছে, এই বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে রেড রোডের কুচকাওয়াজে দর্শক থাকবে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেড রোড ও সংলগ্ন রাস্তাকে ১১টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। একেকটি জোন ভাগ করা হয়েছে একাধিক সেক্টরে। একেকটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একেকজন করে ডিসি। অন্তত ২০ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম পুলিশ আধিকারিকরা থাকবেন রেড রোডে। শুধু রেড রোডেই প্রায় দেড় হাজার পুলিশ থাকছে। কলকাতাজুড়ে থাকছে প্রায় চার হাজার অতিরিক্ত পুলিশ। রেড রোডে থাকছে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল পোস্ট।নজরদারি রাখা হবে ড্রোনেও। এছাড়াও বাড়তি নিরাপত্তা হিসাবে ৫টি বাঙ্কার, ৬টি ওয়াচটাওয়ার,তিনটি কুইক রেসপন্স টিম,২৬ টি টহলদারি গাড়ির ব্যবস্থা থাকছে।