৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : প্রধান শিক্ষক অর্থাৎ হেড মাস্টারমশাই প্রায়ই অনুপস্থিত৷ এমনকি স্কুলে এলেও মদ্যপ অবস্থায় আসেন৷ সকলের সঙ্গেই দুর্ব্যবহারের করেন। স্কুলের পঠনপাঠনের চেয়ে বেনিয়ম কীভাবে করবেন, সেদিকেই নজর থাকে গুণধর মাস্টার মশাইয়ের৷ এমনই হাজারও অভিযোগে বুধবার রীতিমতো হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে গেল মালদহের স্কুলে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ- প্রশাসন৷
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মদ্যপানকে ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত৷ প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণের বিরোধী ছিলেন একাংশ সহ শিক্ষক৷ তারই জেরে এদিন সহ শিক্ষকদের সঙ্গে নতুন করে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক৷ দু’পক্ষের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি বেঁধে যাওয়ার উপক্রম ঘটে৷ যার জেরে ডাকা হয় স্থানীয় থানার পুলিশকেও৷ ঘটনার জেরে এদিন ব্যাহত হয় স্কুলের পঠনপাঠনও৷ ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে।
প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় কুমার বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক ঠিকমতো স্কুলে আসেন না। স্কুলে না এসে অন ডিউটি দেখান। বিদ্যালয়ের একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এমনকি স্কুলে এলেও মদ্যপ অবস্থায় আসেন৷ এর ফলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে৷ এই বিষয়েই ওনাকে সাবধান করতে গেলে উনি দুর্ব্যবহার করেন৷’’
অতঃপর , এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে । আরো জানান, ‘‘সবটাই চক্রান্ত৷’’ স্কুলের পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা অবশ্য এমন ঝামেলায় তিতিবিরক্ত৷ তাঁরা বলছেন, মারপিট করতে হলে মাস্টারমশাইয়েরা স্কুল শুরুর আগে বা পরে মারপিট করুন৷ স্কুল আওয়ার্সে এই সব আর বরদাস্ত করব না৷’’