
কৌশিক বসু,দুর্গাপুর : মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প দুয়ারে সরকারের উদ্দেশ্যই ছিল মানুষকে ঘরের দুয়ারে সঠিক পরিষেবা দেওয়া । কিন্তু সেখানে আবেদনের পরেও অমিল বিদ্যুৎ পরিষেবা! প্রায় ৫ মাস আগে বিদবিহার পঞ্চায়েতের শিবপুরের রায়ডাঙ্গার কয়েকটি পরিবার বিদ্যুতের আবেদন জানানো সত্বেও আজও মেলেনি বিদ্যুৎ সংযোগ। এর ফলে এলাকার দুই দাপুটে তৃণমূল নেতা , পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সুত্রধর ও অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখকে বারে বারে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। এদিন সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন এই দুই দাপুটে তৃণমূল নেতা। বিদ্যুৎ দপ্তরের ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিয়ে সব কাগজ পত্র ছড়িয়ে দেন তারা। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিদবিহার পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মলানদিঘী ফাঁড়ির পুলিশ , উত্তেজনা নিয়ন্ত্রনে আনে।

শনিবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচী চলাকালীন অন্যান্য দপ্তরের মতন বিদ্যুৎ দপ্তরের ক্যাম্পও করা হয়েছিল। এই সময় ক্যাম্পে আসেন তৃণমূলের দুই নেতা। বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে হঠাৎই টেবিল সহ নথিপত্র , চেয়ার সব উল্টে ফেলে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ কর্মীদের ব্যাপক ধমক দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতাকে। যতক্ষন পর্যন্ত না বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে , ততক্ষন বিদ্যুৎ কর্মীদের ক্যাম্পে বসতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বিদবিহার পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সুত্রধর।

অন্যদিকে বিদ্যুতের জন্য আবেদনকারী অজিত বাগদীর অভিযোগ, ৫মাস আগে বিদবিহারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করলেও পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি।
এই ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এলাকার বিজেপি নেতার কটাক্ষ , “একটা অপদার্থ প্রশাসন চালাচ্ছে একটা অপদার্থ দল , যারা নিজেরাই গোষ্ঠীদ্বন্দে জর্জরিত”।
এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চ্যাটার্জী জানান,” এবারেই প্রথম দুয়ারে সরকারে অভিযোগ সেল করা হয়েছে। মানুষের অভিযোগ জানানোর সুযোগ করা হয়েছে , এদিনের ঘটনা তারই ইতিবাচক দিক। বিদ্যুৎ দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছি”,বলেন মহকুমা শাসক।