
৯৯বাংলা নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি কেন্দ্রের।২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরনো ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিলের কথা আচমকা ঘোষণা করেন।যা নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ।যার রেশ দেশ জুড়ে এখনও চলছে। কেন্দ্রে নোটবন্দির এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ এবং বেআইনি বলে দাবি করেছিল বিরোধীরা। মোদীর সেই পদক্ষেপ নিয়েই এবার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।কেন্দ্রের মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে আইনত বৈধ বলেই রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
নোট বাতল অবৈধ ও বেআইনি এই অভিযোগ নিয়ে একাধিক পিটিশন দায়ের হয় সর্বোচ্চ আদালতে। যা নিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে শুনানি চলছিল।যাতে ২০১৬ সালের নভেম্বরে মোদী সরকারের ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ পিটিশনগুলির উপর তাঁদের রায় দিয়েছে। শীর্ষ আদালত সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে এবং আবেদনগুলি খারিজ করে দেয়। তবে বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি রামাসুব্রমানিয়ান এবং বিচারপতি বিভি নাগারত্নের বেঞ্চ দুটি পৃথক রায় দিয়েছে। পাঁচ জনের মধ্যে জন একই রায় দিয়েছেন এবং কেবল একজন সরকারের বিপক্ষে রায়দান করেন।
প্রসঙ্গত,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলে সিদ্ধান্তের ঘোষণার পর দেশে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বিভ্রান্তি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। কয়েকদিন ধরেই পুরানো টাকার ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার লম্বা লাইনও ছিল। এমনকি টাকা জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে কিছু মানুষের মৃত্যুও হয়। সেই ঘটনা নিয়ে মোদী সরকারের প্রবল সমালোচনায় সরব হয় বিরিধীরা। বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা নোটবন্দির সমালোচনা করেছেন। মোদী সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে দেশ বিরোধী বলেও দাবি করা হয়। এমনকি ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যপক ক্ষতিরও অভিযোগ ওঠে। যদিও সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কারণ হিসাবে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং কালো টাকা এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের সমস্যা মোকাবিলাকেই সামনে রেখেছিল। তবে সমস্ত বাধা পেরিয়ে সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তকেই বহাল রেখেছিল।অবশেষে সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশের শীর্ষ আদালত পাশে দাঁড়ানোয় স্বস্তিতে মোদী সরকার