
৯৯ বাংলা নিউজ, বাঁকুড়া: কয়েক দিন আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।এবার দলের রাজ্য সভাপতিকে পাশে বসিয়ে মঞ্চ থেকে পুলিশকে জুতো মারার হুঁশিয়ারি দিলেন সাংসদ।পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদেরও ভোটে ব্যালট বাক্স পরিবর্তনের চেষ্টা করলে জুতো মারার হুঁশিয়ারি দেন সৌমিত্র।যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে নান্দার ঝড় উঠেছে।
প্রসঙ্গত,আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে,সোমবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিডিও অফিসে ডেপুটেশনের ডাক দেয় বিজেপি। ওই ডেপুটেশনে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনেই এদিন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও পুলিশকে বলছি এই গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট বক্স পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না।যদি মনে করেন মানুষকে ভোট দিতে দেবেন না তাহলে আমরা জুতো মারব। এদিন বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে আবাস যোজনা নিয়ে এদিন প্রশাসনিক আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখাকেও। বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের একড়াবাদ গ্রামে আয়োজিত একটি কর্মী সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে বক্তব্য রাখেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। সেই বক্তব্যের মাঝেই অমরনাথ শাখা বলেন, ” পঞ্চায়েতে নয় আবাস যোজনায় বাড়ি পেতে চাইলে বিডিও এসডিওদের ঘরে চাবি দিয়ে রাখতে হবে। বিডিওদের পায়খানা প্রস্বাব বন্ধ করে দিতে হবে। এই ভাবে অত্যাচার চালালে প্রকৃত প্রাপকরা বাড়ি পাবেন” বলে নিদান দেন।
সরকারি আধিকারিকদের বিধায়ক ও সাংসদের হুঁশিয়ারিকে অতন্ত্য নিন্দনীয় বলে দাবি করেছে তৃণমূল।তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির সংস্কৃতি এটাই।যারা সরকারি আধিকারিকদের প্রকাশ্যে হুমকি দিতে পারে তারা যে সাধারণ মামুষের উপর কীভাবে তালিবানি শাসন চালায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।