
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক : সেক্সটরশন চক্রের টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে বিদেশে। সম্প্রতি এমনি তথ্য এসেছে লাল বাজারের গোয়েন্দাদের হাতে। লোন অ্যাপ থেকে শুরু করে গেমিং অ্যাপ একের পর এক জালিয়াতির তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এইসবের মাধ্যমে জালিয়াতদের রোজগার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই বিপুল টাকার অংশ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে বিটকয়েনের মত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে।
গেমিং অ্যাপ প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত গার্ডেনরিচ এলাকার বাসিন্দা আমির খানের বেশ কয়েক কোটি টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ এবং ইডি। আর এবার সেক্সটরশন চক্রের তদন্তে নেমেও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
ফোনের ওপারে এক সুন্দরী মহিলা অশ্লীল আচরণ। পেছনে যাকে ফোন করা হচ্ছে তাঁর ছবি। সেই ভিডিও ক্লিপস তুলে রেখে চলছে ব্ল্যাকমেইল। ছবি হোয়াটসঅ্যাপে ডিপিতে রেখে মেসেজ পাঠাচ্ছে জালিয়াতরা। সম্প্রতি রাজস্থানের ভরতপুর থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা এবং তার আশেপাশে বসেই অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে বা সেক্সটরশন করে মোটা টাকা কামাচ্ছে এ রাজ্যের কয়েকজন বাসিন্দা।এই ঘটনা তদন্তে নেমেই মোট ছজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি এই চক্রের মাথা সুভাষের অ্যাকাউন্ট থেকে সম্পত্তি লেনদেন হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। বিপুল টাকার প্রায় পুরোটাই জালিয়াতির। টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্টে।এভাবেই চলছে এই চক্র।সেক্সটরশন করে এখনও পর্যন্ত কোটি কোটি টাকা পাঠানো হচ্ছে বিদেশে।
লালবাজারের এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, রেকর্ড করা ভিডিও দেখিয়েই ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করে জালিয়াতরা। সচেতনতার ফলে সেক্সটরশন কিছুটা কমেছে। যদিও অনেকেই লজ্জায় ও সামাজিক সম্মান হারানোর ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চান না। ইতিমধ্যেই যে সেক্সটরশন করে বিপুল পরিমাণ টাকা জালিয়াতরা রোজগার করেছে, তার প্রমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা বিদেশে পাঠানো। পুলিশের কর্তাদের পরামর্শ, অচেনা কেউ ভিডিও কল করলে তা রিসিভ না করতে। আর যদি কেউ ফোন তুলেও ফেলেন ও ব্ল্যাকমেল শুরু হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে যেন তিনি সাইবার থানা বা নিজেদের এলাকায় সাইবার সেলে অভিযোগ জানান।