
সৈয়দ মফিজুল হোদা,৯৯ বাংলা নিউজ, বাঁকুড়াঃ বেশ কিছুদিন ধরে উত্তর বাঁকুড়া বনাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলমার হাতির দল। ক্ষতি করছে ফসলের। খাবারের সন্ধান চালাতে গিয়ে ভাঙছে মানুষের ঘরবাড়ি। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভে সরব হয়েছে মানুষ।তারপরেও উদাসীন বনদপ্তর। হাতির দলটিকে দলমায় ফেরানোর কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না, এমনটাই অভিযোগ এলাকার মানুষদের। প্রতিবাদে বুধবার বেলিয়াতোড় রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ কৃষি বাঁচাও প্রাণ বাঁচাও কমিটির।
গত কয়েকদিন ধরে ৮৮টি হাতি বড়জোড়া ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে মানুষ মেরেছে। ক্ষিপ্ত হাতিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি গবাদী পশুরাও। বিস্তর ফসলের ক্ষতি করছে। গত কয়েক দিনে ৩ জন গরীব মানুষকে পিষে মেরে ফেলেছে। হাতিদের এই অত্যাচারের থেকে রক্ষা পেতে এবার সারা ভারত কৃষক সভার উদ্যোগে বৃন্দাবনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ‘কৃষি বাঁচাও প্রাণ বাঁচাও’ কমিটি তৈরি করা হয়। আজ সেই কমিটির ডাকে বেলিয়াতোড় রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কমিটির দাবী, ৭ দিনের মধ্যে হাতিগুলিকে ব্লক থেকে সরাতে হবে, মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের ১ জনকে স্থায়ী চাকুরী দিতে হবে। এছাড়াও কৃষির ক্ষতিপূরণের মূল্য বাড়ানো সহ হাতিদের আক্রমণে গবাদী পশুর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ, ভেঙেফেলা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া সহ একগুচ্ছ দাবিপত্র পেশ করা হয়। কমিটির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে অবিলম্বে এই দাবিগুলি মানা না হলে তাঁরা রাস্তায় নেমে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।
বুধবার রেঞ্জ অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন কৃষকসভার জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায়, প্রাক্তন বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী, জেলা কৃষক নেতা সুজয় চৌধুরী, সুভাষ লায়েক, খেতমজুর নেতা শান্তিময় রায়, প্রভাত মাজি, সুভাষ তুঙ্গ, স্বদেশ ঘোষরা। বন দপ্তরের আধিকারিকরা দাবির সঙ্গে সহমত হন। তারা বলেন বেলিয়াতোড় রেঞ্জে ২৮ জনের চাকরি হওয়ার কথা, কিন্তু এখন পর্য্যন্ত মাত্র ৭ জনের চাকরি হয়েছে। এদিনের দাবিপত্রটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।