
কৌশিক বসু,দুর্গাপুর : কয়লা কারবারী রাজু ওরফে রাজেশ ঝায়ের হত্যাকান্ড নিয়ে যখন শিল্পাঞ্চল উত্তাল , সে সময় রবিবার নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হল রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র একটি টুইটকে ঘিরে। এদিন বাবুল সুপ্রিয় একটি টুইট করেন এবং সে টুইটে লেখেন ,” লক্ষন বলে একজন দুষ্টু বিধায়ক,যে আসানসোলের সভাপতি হওয়ার জন্য আমার বাড়ীতে সকাল থেকে বসে থাকত,সেই কৈলাশ বাবুর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে @Bjp4Bengal এবং দিলীপ বাবুর সাথে রাজুর ব্যাপারটা “ব্রোকার” করেছিল এবং আমি ছেড়ে দিতে তাই ৫ লাখি চড় মেরেছে ওদের আসানসোলের জনতা”। এই টুইটের পরেই ঝড় বয়ে যায় শিল্পাঞ্চল জুড়ে।
টুইটের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মন ঘোড়ুই। বিধায়ক বলেন ,”উনি এখন তৃণমূলের ব্যাক বেঞ্চে বসছেন , কেউ পাত্তা দেয় না,কেউ সম্মান জানায় না,তাই উনি কি বললেন তাতে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই”। লক্ষ্মনবাবুর আরও সংযোজন ,”ওনাকে সাংসদ করার জন্য আমি কি করেছি , তা আসানসোলের মানুষ জানে , আর উনিই দুষ্ট লোকেদের সাথে সম্পর্ক রেখেছিলেন , তাই ওনার মন্ত্রীত্ব পদ গেছে , যেখানে যাওয়ার উনি সেখানেই গেছেন”। এর পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল সহ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক।

স্বভাবতই বক্তব্য , পাল্টা বক্তব্যে সরগরম শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার অবশ্য গোটা ঘটনাটিকে দু:খজনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন পুলিশ অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তদন্ত করছে। তিনি আরও বলেন যে ওনার বিরূদ্ধে একাধিক থানায় অবৈধ কারবারের অভিযোগ ছিল এবং পুলিশ আগে বহুবার ওনাকে গ্রেপ্তার করেছিল। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন যে বিজেপিই আইন ভেঙ্গে প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তোলে , ওনারা সবই জানেন কে কোথায় কার সাথে যোগ দিয়েছে,ওনারাই এসব ঘটান আর প্রশাসনকে দায়ী করেন।