
নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা : আমরা লক্ষীর ভান্ডার চাই না আমরা চাই শিক্ষা। কারণ আদিবাসীরা শিক্ষিত হলে আদিবাসীদের মধ্যে শিক্ষার মান বারার সাথে সাথে আদিবাসী সমাজ থেকে যেমন কুসংস্কার দূর হবে তেমনি শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকরি পাবে। রোজগার হলে গ্রামেরও উন্নতি হবে।
ভোটের সময় জল দেবো কল দেবো শুধু তোমরা ভোটটা আমাদের দিও নানান প্রতিশ্রুতি দেয় নানান দল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই আদিবাসীদের এবার শিক্ষিত হতে হবে।তাই পুলিশ কমিশনারকে সামনে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
মঙ্গলবার কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিনুক গড়ে আদিবাসী গ্রামে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের উদ্যোগে ‘মিট ইয়োর অফিসার’ অনুষ্ঠিত হয়।এদিন অনুষ্ঠানে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুধীর কুমার নিলকান্তম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি সন্দীপ চট্টরাজ, কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল, ডি সি পি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস,কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুক্লা সিং,বিশিষ্ট সমাজসেবী পল্লব বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।এদিক কমিশনার সুধীর কুমার নিলকান্তম এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছ থেকে তাদের সমস্যার কথা সরাসরি শোনেন। কেউ কাজের দাবি জানায়,কেউ বিদ্যুৎ বিল মকুবের আবার কেউ এলাকার রাস্তা ঘাটের সমস্যা তো কেউ শিক্ষার ব্যবস্থা করার আবেদন জানান।
আদিবাসীদের সমস্যার কথা শুনে দ্রুত যাতে সমস্যা মেটানো যায় তার আশ্বাস দেন তিনি।এছাড়াও এদিন এলাকার আদিবাসী যুবকদের হাতে খেলার সরঞ্জাম,পড়ুয়াদের হাতে লেখা পড়ার সরঞ্জাম তুলে দেন কমিশনার।পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নিলকান্তম জানিয়েছেন, মূলত আদিবাসীরা অনেকেই তাদের সমস্যা নিয়ে থানায় আসেন না। তাই পুলিশের সাথে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে সু সম্পর্ক গড়ে তুলতেই ‘মিট ইয়োর অফিসার’ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছ থেকে সরাসরি তাদের সমস্যার কথা শোনা হয়েছে।যতটা সম্ভব তাদের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করবেন তিনি।

