
অর্পণ ভট্টাচার্য, ৯৯ বাংলা নিউজ: ফের নেপালের পোখরায় ভেঙে পড়ল যাত্রিবাহী বিমান। রবিবার পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৭২ আসনের বিমানটি। বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন।সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি।
রবিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অন্তত ৩৫ টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমান সংস্থার মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘কেন বিমানটি ভেঙে পড়ল, জানি না। কেউ জীবিত রয়েছেন কি না, তা-ও বলতে পারছি না। ভেঙে পড়া মাত্রই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ফলে বিমানে থাকা যাত্রী বা বিমানকর্মীদের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীন বলে মনে রছে ওয়াকিবহাল মহল।যুদ্ধকালীন তথপরতায়শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। আগুন নেভানোরও কাজ চলছে।’’ ,
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়েছিল। গত ৩০ বছরে অন্তত ৩০টি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে হিমালয়ের কোলের এই দেশে। কী কারণে রবিবার দুর্ঘটনা হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।গত বছর নেপালের পোখরায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি বিমান। পোখরা থেকে বিমানটি জমসনে যাচ্ছিল। টেক অফের ১৫ মিনিটের মাথাতেই ভেঙে পড়ে উড়ান। পরে মুসতাং এলাকায় খাদের মধ্যে থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে নেপালের সেনা। বিমানে থাকা ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খাদের ধারে মেলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স । এই ব্ল্য়াক বক্সের মধ্যে থাকে ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার। এর আগে ২০১৬ সালে ঠিক একইভাবে, একই জায়গায় ভেঙে পড়েছিল নেপালের একটি বিমান। সেই উড়ানটিও ছিল তারা এয়ারওয়েসের । বিমানে ছিলেন ২৩ জন যাত্রী। সাত বছর আগের ওই বিমানটিও পোখরা থেকে জমসন যাচ্ছিল। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটিও ঠিক একইভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর সেটি মুসতাং জেলাতেই ভেঙে পড়ার খবর মেলে। মৃত্যু হয় সকল যাত্রীদেরই। বারবার কেন পোখরাতেই ঘটছে দুর্ঘটনা? উঠছে প্রশ্ন।