
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : বছরশেষে আনন্দ করতে বিরিয়ানিতে মজেছিলেন দেশের মানুষজন। অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগির হিসেব অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর রাতে সাড়ে ৩ লক্ষ বিরিয়ানির অর্ডার এসেছিল। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে সেই বিরিয়ানিই প্রাণ কাড়ল এক তরুণীর।
অনলাইনে অর্ডার দেওয়া বিরিয়ানি খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০ বছরের এক তরুণীর। এই ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার সন্দেহ করা হচ্ছে। ২০ বছর-বয়সী তরুণী কুঝিমন্থি কেরালার স্থানীয় হোটেল থেকে আনা বিরিয়ানির খাওয়ার পরে মৃত্যু হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, কাসারগোডের কাছে পেরুমবালার অঞ্জু শ্রীপার্বতী ৩১শে ডিসেম্বর কাসারগোডের রোমানশিয়া নামের একটি রেস্তোরাঁ থেকে অনলাইনে কেনা বিরিয়ানি খেয়েছিল। সেটা খাওয়ার পর থেকেই সে অসুস্থ হয়ে পরে এবং চিকিৎসা চলছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, “তার বাবা-মা অভিযোগ দায়ের করার পরে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মেয়েটি শনিবার সকালে মারা গিয়েছে।” ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিরিয়ানি খাওয়ার পর মেয়েটি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতা তরুণীর মা বাবা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খাবারে বিষক্রিয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অঞ্জু। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অঞ্জুর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। তিনি বলেছেন, “ঘটনার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা করার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনারকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। DMO ঘটনাটি এবং মেয়েটির চিকিৎসার বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন।” বিষয়টি নিয়ে তদন্ত নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ফুড সেফটি কমিশনারকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কোঝিকোড়ের একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁ থেকে খাবার খাবার পর কোট্টায়াম মেডিকেল কলেজের একজন নার্সের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে রেস্তোরাঁগুলির বিরুদ্ধে খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগ উঠেছে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট-এর অধীনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।