
অর্পণ ভট্টাচার্য, ৯৯ বাংলা নিউজ: নতুন করে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি। শৈল শহর দার্জিলিংয়ে। আর এবারের আন্দোলনে বিমল গুরুং, বিনয় তামাংদের সঙ্গে শামিল সিপিএমও। রবিবার ক্যাপিটাল হলে প্রকাশ্য সভায় একই মঞ্চে দেখা গেল বিমল গুরুং, বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ড-সহ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠককে। সেখানেই গোর্খাল্যান্ডের দাবি ওঠে। মঞ্চে হাজির প্রত্যেকের মুখে ছিল গোর্খাল্যান্ডের কথা। কেউ সরাসরি বলেন, কেউ আবার ঘুরিয়ে। কিন্তু দাবি একই ছিল।কিন্তু বামেরা থাকায় উঠছে সঙ্গী বিতর্কও। যদিও ওই জনসভাকে কটাক্ষ করেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। তিনি বলেন, ‘‘ওটা গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনের জন্য মঞ্চ নয়। ওটা আমাকে গালি দেওয়ার মঞ্চ।’’ সোমবার পাহাড়ে দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন। তার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টা আগে এমন জনসভা পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন মোড়। পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে যখন অনীত থাপারা বোর্ড গঠন করতে চলেছেন। ঠিক তখনই ফের একবার গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে আন্দোলনের আভাস দিলেন বিরোধীরা।
ক্যাপিটাল হলে পাহাড়ের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যদিও তাদের দল পাহাড়ে ক্ষমতায় নেই। প্রত্যেকে মিলে ‘গোর্খা স্বাভিমান মঞ্চ’ গড়েছেন। ওই মঞ্চ পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন করবে এমনই দাবি নেতৃত্বের। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং বলেন, ‘‘গোর্খাদের স্বার্থে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের প্রয়োজন। ওই দাবিতে আমরা আন্দোলন করব। তবে হিংসাত্মক আন্দোলন হবে না।’’ হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, ‘‘বুদ্ধিভিত্তিক গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন করতে হবে। পাহাড়ের জন্য ওই দাবিতে সরব হতে হবে। আমরা শুনতে পাচ্ছি উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য হবে। যদি সেটা হয় তবে পাহাড়ের ক্ষতি হবে।’’ বিনয় তামাং অবশ্য সরাসরি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলেননি। যদিও তিনি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন গোর্খাল্যান্ডের সমর্থক। তিনি বলেন, ‘‘গোর্খাদের সম্মানের জন্য আমাদের এই সংগ্রাম। আমরা চাই গোর্খারা আত্মসম্মানের সঙ্গে বাঁচুক। সেজন্য যেটা দরকার তা নিয়ে আমাদের আন্দোলন করতে হবে।’’