
রুম্পা রায়, ৯৯বাংলা ডেস্ক : “আসছে মকর দুদিন সবুর কর”অবশেষে রবিবার সকালে এলো সেই সবুর করার দিন পুরুলিয়ার মকর পরব।
আর রবিবার সকাল থেকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান অন্যদিকে ছোটনাগপুর অঞ্চলের মকর পরব আর টুসুর চৌডল বিসর্জন ঘিরে সুবর্ণরেখা নদীতে দুই রাজ্য মিলে মিশে এক হয়ে গেল।
বাংলার ঝাড়খন্ড সীমানার সুবর্নরেখা নদী। একদিকে বাংলার পুরুলিয়ার ঝালদা থানা অন্যদিকে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাঁচি জেলার সিলি থানা। দুই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মকর সংক্রান্তির পুন্যস্নান এবং টুসুর চৌডল বিসর্জন দেওয়ার একমাত্র জায়গা সুবর্ণরেখা নদী। এদিন তাই দুই রাজ্যের মিলন ক্ষেত্র হয়ে ওঠে সুবর্ণরেখা নদী।
দুলাল কর্মকার ববি কুইরিরা জানান, করোনার জন্য দু বছর শুনশান ছিল সুবর্ণরেখা নদী। দু বছর পর আবার সুবর্ণরেখায় আসতে পেরেছি দারুন লাগছে। পুণ্যস্নান করে একটাই প্রার্থনা করলাম। করোনা মুক্ত থাকুক ভারতবর্ষ। আর যেন সুবর্ণরেখা নদীতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় মারণ করোনা ব্যাধি।
এবার টুসুর চৌডল বিসর্জন জমে উঠেছে। ঝালদা থানার ঝাড়খন্ড সীমানার গ্রাম তুলিন। পুরুলিয়া রাঁচি রাজ্য সড়কের ওপর তুলিনের শেষ প্রান্তে সুবর্ণ রেখার সেতু পেরিয়ে যাওয়া যায় ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী শহর রাঁচি। এই তুলিন সেতুর নিচে দুই রাজ্যের মানুষ মকর পরবের পুন্যস্নান এবং টুসুর চৌডল বিসর্জনের জন্য ভিড় জমান। নদীর পারে বসে মেলাও। সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত একদিনের এই মেলা জন সমুদ্রের রূপ নেয়। দুই রাজ্যের সীমানার মেলায় কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কড়া নজরদারি চালায় ঝালদা থানা সহ তুলিন ফাঁড়ির পুলিশ।