
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : হিন্দু ধর্মে মকর সংক্রান্তির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এই বছর মকর সংক্রান্তি উৎসব ১৫ জানুয়ারি। মকর সংক্রান্তির শুভ উৎসবে পবিত্র নদীতে স্নান করে সূর্য দেবতার পুজো করার রীতি রয়েছে। এছাড়াও, রয়েছে বাঙালির পিঠে-পায়েস। শীতকাল বললেই এক লহমায় এই শব্দদুটিই মাথায় আসে। পৌষ মাসের শেষদিনে এ মিষ্টান্নদুটির আস্বাদ কখনো নেয়নি, এমন বঙ্গ সন্তান খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। সে কারণেই পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তির নাম হয়ে গিয়েছে ‘পৌষ-পার্বণ’।
জ্যোতির্বিদ্যা মতে, এই দিবসেই সূর্য ধনু থেকে মকর রাশিতে পদার্পণ করে। রাশি অতিক্রমণকে সংস্কৃতে বলে, ‘সংক্রান্তি’। ফলতঃ দিনটির পোশাকি নাম, ‘মকর সংক্রান্তি’। নিরয়ণ বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, সূর্যের উত্তরায়ণও এদিন থেকেই শুরু। শাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে সূর্য মকর রাশিতে আসেন, যা শুধুমাত্র সমস্ত রাশিগুলিকেই নয়, সমগ্র পরিবেশকেও প্রভাবিত করে। মকর সংক্রান্তির দিনে দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এটি করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। এর সঙ্গে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এদিকে মকর রাশির অধিপতি হলেন শনি। আর হিন্দু পুরাণ অনুসারে, তিনি সূর্যের ছেলে। তাই মজা করে বলা হয়, বাবা নাকি ছেলের বাড়ি ঘুরতে আসেন। বাবা সূর্যদেব। তিনি ছেলে শনিদেবের বাড়িতে প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন বেড়াতে আসেন। যেহেতু সূর্য এদিন ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে পদার্পণ করেন। তাহলে এমন দিনের পশ্চাতে কোনো পৌরাণিক লোকশ্রুতি থাকবে না, হয়? মহাভারত অনুযায়ী, এদিনই নাকি প্রাণত্যাগ করেছিলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্ম। দিনটিকে অশুভ শক্তি নাশের দিন হিসেবে দেখা হয়, কারণ ধারণা করা হয়, বিষ্ণু অসুরদের মুন্ডচ্ছেদ করে মন্দিরা পর্বতে পুঁতে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মধ্যে মকর সংক্রান্তি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য একটি উত্সব। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা রীতি-রেওয়াজের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি। এদিন সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে। মকর সংক্রান্তি থেকেই শুরু হয় সূর্যের উত্তরায়ণ যাত্রা। এই বছরে ১৫ই জানুয়ারি সকাল ৮টা ২১ মিনিটে সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করছে। উদয়া তিথি অনুসারে অনেকে ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি পালন করা হচ্ছে।