
অর্পণ ভট্টাচার্য,৯৯ বাংলা নিউজ: সিবিআই আধিকারিকদের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। প্রাথমিক তদন্তের কাজ শেষ করার সিবিআই কর্তাদের গাফিলতিকেই দায়ী করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই সোমবার লালনের মৃত্যুর সময় , কেন্দ্রীয় সংস্থার রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে থাকা চারজনকেই সাসপেন্ড করল সিবিআই। সূত্রের খবর আপাতত বগটুই কাণ্ডের তদন্তের ভার প্রাপ্ত সিবিআই কর্তা, ভাদু শেখের হত্যা মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার এবং আরও দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সিবিআই ইনস্পেক্টর রাহুল প্রিয়দর্শী, সিবিআইয়ের ডিএসপি বিলাশ মাদগুঠ এবং দু’জন কনস্টেবল।
সিবিআই সূত্র খবর, এই কর্তাদের উপস্থিতিতে কী ভাবে একজন অভিযুক্তের মৃত্যু হল,তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্তারা। যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, লালন-কাণ্ডে উঠে আসা আরেক সিবিআই কর্তা সুশান্ত ভট্টাচার্যের কোনও ভূমিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার এই কর্তার বিরুদ্ধে লালনের মৃত্যুর কোনও সংযোগ নেই বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। একই ভাবে লালন মৃত্যুর ঘটনায় আর যে সমস্ত এসপি বা ডিআইজির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেনি সিবিআই। তবে সোমবার চার তদন্তকারী কর্তাকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি, বগটুই এবং ভাদু শেখ খুনের মামলায় চার জন নতুন তদন্তকারী কর্তাও নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লালনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় ১২ ডিসেম্বর। ওই অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছেন বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির অভিযোগ, সিবিআই মারধর করে তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। তিনি সাত জন সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, হুমকি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মামলা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই সময় তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ভূমিকা কী ছিল তা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করে।