
৯৯ বাংলা, নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় লালনের।বগটুই কাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখ। তার মৃত্যুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এল হাইকোর্টে। কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারলো না কলকাতা হাইকোর্ট বিরক্তি প্রকাশ বিচারপতির। লালন শেখের ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খুব খারাপ।” পাশাপাশি এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে এইমস দিল্লি বা এসএসকেএম-এর মতো হাসপাতালের থেকে মতামত নেওয়ার জন্য রাজ্যকে পরামর্শ নিতে বলেছেন বিচারপতি। রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে লালন শেখের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী একাধিক সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি-কে। আদালতে সিআইডি-র জমা দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টের বিরুদ্ধে সরব হয় সিবিআই। তাঁদের দাবি, লালনের মৃত্যু নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এর পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এমনকি আগামী ১৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির সময় মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । পাশাপাশি লালন শেখের মৃত্যু তদন্তে সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি। সে ব্যাপারে বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা নোটিস দিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিআইডি।
লালনের মৃত্যুর বিষয়ে সিবিআই এর উপর আঙুল তুলেছে রাজ্য রাজ্যের বক্তব্য, এখানে সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা না এসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন এসেছে? এখনও তদন্তে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। এমনকি লালনের স্ত্রী রেশনা বিবির সই নিয়ে সিবিআই-এর প্রশ্ন তোলার ব্যাপারেও সরব রাজ্য। সেই সঙ্গে রাজ্যের যুক্তি, ১৪ ডিসেম্বর মামলা শুরু হয়েছে। মামলা যে পর্যায়ে আছে, তাতে এখনও কেস ডায়েরি দেখার সময় আসেনি বলে মত রাজ্যের। তখন বিচারপতি বলেন, “যেহেতু FIR নিয়েই নানা প্রশ্ন এসেছে, তাই কেস ডায়েরি দেখার দরকার ছিল।” এর পাশাপাশি বিচারপতি সাফ বলেছেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খুব খারাপ। এটা নিয়ে আগে সন্তুষ্ট করুন। বাকি ব্যাপারে পরে বলব। এইমস দিল্লি ও এসএসকেএম-এর মতো কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাঠিয়ে মতামত নেওয়া হোক।”
রাজ্যের দেওয়া ময়না তদন্ত রিপোর্টে যে মোটেও খুশি নয় আদালত তা এদিন স্পষ্ট করলো মহামান্য হাইকোর্ট।