
সংবাদদাতা, মালদহ: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিরোধীশূন্য করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমুখী কর্মসূচিগুলোকে নিয়ে একদিকে যেমন শুরু হয়েছে দিদির রক্ষাকবজ প্রকল্প অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল দল বড় বড় সভা ও জমায়েত করছে। এক কথায় বলা যায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মালদহ জেলার রাজনীতি সরগরম।
বুধবার দুপুরে পুরাতন মালদা ব্লকের নারায়ণপুর বিএসএফ মোড় এলাকায় জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে ও জেলা তৃণমূলের সহযোগিতায় পঞ্চায়েতি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী, জেলা মহিলা তৃণমূল কমিটির সভানেত্রী মৃনালিনী মন্ডল মাইতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন,আবাস যোজনা নিয়ে তো অনেক রকম কুত্সা বিরোধীরা রটিয়েছিল।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতেই কেন্দ্রীয় টিমকে পাঠিয়ে আবাস যোজনা তদারকি করা হচ্ছে। অথচ এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রের যেসব প্রতিনিধি দল এরাজ্যে এসেছে তাঁরা কিছুই খুঁজে পায় নি। আর পাবেও না। অথচ সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যেখানেই যাচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ তাদের সামনে পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তখন ওরা নিশ্চুপ। তাদের কাছে কোন উত্তর নেই। আগে মালদার গঙ্গা, ফুলহার নদীর ভাঙ্গন সমস্যা সমাধান করুক। তারপরে অন্য কিছুতে মাথা ঘামাবে। আবার কোথাও বেহাল জাতীয় সড়কের অবস্থা নিয়েও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তারপরও উদাসীন কেন্দ্র সরকার।
মূলত এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে পঞ্চায়েতি সভা নামে জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। এদিন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, ২০২০ সালে দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তখন বিরোধীরা বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে অনেক রকমই বিভ্রান্তিকর প্রচার করেছিল। আজকে দেশীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি সব থেকে ভালো।
তিনি আরও বলেন, নারীদের হাত শক্ত করতে কন্যাশ্রী থেকে লক্ষী ভান্ডারের মত একের পর এক সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । সমাজে নারীদের উন্নতির পথ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে সূখ্যাতি অর্জন করেছে। তার পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রেও উন্নতি করেছেন। সুতরাং আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এমন একজন প্রশাসক যিনি কখনোই সমাজকে বিভাজন করেন না। সবাই যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে দুবেলা দুমুঠো অন্নর পান করতে পারেন এবং ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষা দিতে পারেন সেই চেষ্টাই ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি করে চলেছেন।