
সৈয়দ মফিজুল হোদা, ৯৯ বাংলা নিউজ, বাঁকুড়া : বুনো হাতির তাণ্ডব যেন রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বাঁকুড়ার জঙ্গললাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের,হাতির দলকে তাড়াতে গিয়ে গুরুতর আহত হুলা পার্টির দুই সদস্য।বছরভরই গজরাজের তাণ্ডবে রাতের ঘুম উড়ে যায় বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের।ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া জেলা জুড়ে বুনো হাতির তাণ্ডবে বেশ কয়েকজন মানুষের প্রাণ বেঘরেই চলে গেছে।এই বুনো হাতির তাণ্ডব বাঁকুড়া জেলার মানুষকে যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। সারা বছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফলানো ফসল থেকে শুরু করে নিজেদের বসত বাড়ি সবকিছুই ধুলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে বুনো হাতির তাণ্ডবে।ফলে আতঙ্কে একাধিক গ্রামের মানুষ।
বন গফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে ৮৮টি বুনো হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বড়জোড়া,সোনামুখী, বেলিয়াতোড় সহ বেশ কয়েকটি জায়গার জঙ্গলে।সোমবার জেলার সোনামুখীর ধামসিমলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইঁন্দকাটার জঙ্গলে ২২টি বুনো হাতির একটি দলকে ড্রাইভ করার সময় গুরুতর ভাবে হাতির হামলায় আহত হল হুলা পার্টির ২ সদস্য। প্রথমে তাদেরকে সোনামুখী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে তড়িঘড়ি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়। এখন তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।তবে দিনের পর দিন হাতির তাণ্ডতে কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের বাসিন্দারাষ তাই অবিলম্বে হাতির তাণ্ডব রুখতে বনদফতর ও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন শতাধিক গ্রামের মানুষ।
বুনে হাতির তাণ্ডব যেখানে জেলার কোনো নতুন সমস্যায় নয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে বাসিন্দারা। তবুও এই সমস্যাকে মোকাবিলা করতে রীতিমতোন বেগ পোয়াতে হচ্ছে বনদপ্তরকে,হাজারো চেষ্টা করেও কিছুতেই এর সুষ্ঠ সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য বনদপ্তরের তরফ থেকে শুধুই মিলছে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস। শুধু দেখর বিষয় এটাই জেলাবাসি তাদের বাপ ঠাকুরদাদার আমলের এই সমস্যা থেকে কোন অব্যাহতি পায় না বহমানতাতেই আচ্ছন্ন থাকে এই সমস্যা।