
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক, পানাগড় : OMR শিট কেলেঙ্কারিতে এবার নাম জড়ালো দেবশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রুপ ডি’র দু’জন কর্মীর।
শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় যাঁদের ‘OMR শিট’ বা উত্তরপত্র বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই তালিকায় রয়েছে টিয়া সাহা ও মানস ঘোষের নাম। পানাগর এর বুদবুদ থানার অন্তর্গত দেবশালা উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানেই গ্রুপ ডি এর কর্মী পদে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আসছেন টিয়া দেবী এবং মানস বাবু।
মঙ্গলবার, এই প্রসঙ্গে দুজনেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হবেন তারা।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে দুজনই একসঙ্গে এই বিদ্যালয় চাকরিতে যোগদান করেন। সম্প্রতি OMR শিটে এই দুজনের নাম আসায় চিন্তিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও। কারণ বিদ্যালয়ে খোলা এবং বন্ধ করার দায়িত্বে রয়েছেন যারা, তারাই যদি কাজে বহাল না থাকেন তাহলে কি হবে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রানু সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “একেই শিক্ষকের অভাব রয়েছে এই বিদ্যালয়ে। তার মধ্যে ডি গ্রুপের দুজন কর্মী যদি না থাকে, তাহলে বিদ্যালয় চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে উঠবে।”
যদিও যাদের ঘিরে এতো জল্পনা তারা দুজন টিয়া সাহা ও মানস ঘোষ বলছেন; রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তারা। কিভাবে এই তালিকায় নাম এলো দুজনের, কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না। প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন উভয়েই।
স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন চ্যাটার্জী বলেন, তাদের কাছেও এটা চিন্তার বিষয়। গ্রামে একটি মাত্র বিদ্যালয়, তাও যদি এতো সমস্যা থাকে তাহলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কি হবে? তা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে সিপিএম। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। পানাগড়ের সিপিএম নেতা অলক ভট্টাচার্য বলেন, এইভাবে দুর্নীতি চলতে থাকলে আগামী দিনে কিভাবে বিদ্যালয়ে চলবে? সেটা যেমন বড় প্রশ্ন, তার থেকেও বড় বিষয় নতুন প্রজন্মের শিক্ষার ভবিষ্যৎ কি হবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে এসএসসি যত OMR শিট আপলোড করছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসছে। এবার গ্রুপ ডি কর্মীর নিয়োগ ঘিরে উঠছে প্রশ্ন, জল্পনা তুঙ্গে।