
৯৯ বাংলা ডেস্ক : এবার বিপদ ঘনিয়ে এলো রানিগঞ্জে। খনি অঞ্চলের পুরো এলাকায় মাটিতে ফাটল, ঘনঘন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হচ্ছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই কারনেই ECL আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
শিল্পাঞ্চলে এইরূপ আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি জোশীমঠে। আগে বন্দোবস্ত করলে এই দিন দেখতে হত না। একই অবস্থা রানিগঞ্জে। গত ১০ বছর ধরে এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা লড়াই করছি। যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, কিছুই দেয়নি। ধস নামলে ২০ হাজার মানুষ মরে যেতে পারে যদি আমরা ঘর না বানিয়ে দিই। আজ পর্যন্ত টাকা দিল না। আমাদের যা ছিল তা দিয়েই বানিয়েছিল। কিন্তু আরও টাকা লাগবে। অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রভাবিত হতে পারেন’।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অবৈধ খনন বন্ধ হয়নি এখনও। বাড়িতে যখন তখন ফাটল দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা মাটি সরে গিয়ে বেরোচ্ছে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস। পরিস্থিতি এমনই যে, ওই এলাকায় মানুষের যাতায়াত কার্যত বন্ধ। ‘বিপজ্জনক’ লেখা বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।যখন এই পরিস্থিতি দেখতে যান ECL আধিকারিকরা, তখন তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীবৃন্দ।