
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক,দুর্গাপুর : দুর্নীতির আবহে রাজ্য জুড়ে যখন টেট পরীক্ষা নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে,সে সময় “তোলাবাজি”র অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরূদ্ধে। তোলা দিতে না চাওয়ায় মারধোরের অভিযোগ, পথ অবরোধ,পুলিশের সাথে বচসা, ডিসেম্বরের ঠান্ডার পারদকে ছাপিয়ে রবিবাসরীয় উষ্ণতা ছড়াল দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে। পুলিশের “দাদাগিরি”র বিরূদ্ধে সরব আট থেকে আশি। অবশেষে সেই পুলিশই দোষী ব্যক্তির বিরূদ্ধে তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কাঁকসার বামুনাড়ার বাসিন্দা উত্তম রুইদাস তার মেয়েকে নিয়ে বেনাচিতিতে যাচ্ছিলেন। আনন্দগোপাল সরনী(নাচন রোড) তে এ-জোন ফাঁড়ির পুলিশ তাঁর বাইক আটকায়। পুলিশের গাড়ীর ড্রাইভার তাঁর কাগজপত্র দেখতে চাইলে,উত্তমবাবু সব কাগজপত্র দেখান। অভিযোগ,এরপরই পুলিশের গাড়ীর চালক তাঁর কাছে ৫০০টাকা দাবি করে। তিনি তা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করে ওই চালক, কাগজপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়, তাঁকে টানতে টানতে পুলিশের গাড়ীতে তোলার চেষ্টা হয়। সেসময় নিজের মোবাইলে সে ছবি তোলার চেষ্টা করলে তাঁর মোবাইল পুলিশ কেড়ে নেয় এবং গাড়ীতে কর্তব্যরত এক অফিসারও উত্তমবাবুকে মারধোর করেন বলে অভিযোগ।
এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় পথচলতি মানুষ ও ব্যাবসায়ীরা। আহত উত্তম রুইদাসকে নিয়ে পথ অবরোধ শুরু করে দেয় আমজনতা। মুহুর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বেনাচিতি বাজারে। স্থানীয়দের অভিযোগ,এই এলাকায় হামেশাই পুলিশের গাড়ী বাইক আরোহী , গাড়ী চালকদের কাগজপত্র দেখার নামে হেনস্থা করে থাকে।
খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ আধিকারিকের সাথেও বচসা বেধে যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। অবশেষে আহত উত্তম রুইদাসের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ওসি এবং দোষী গাড়ীচালকের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ক্ষোভ শান্ত হয়। ঘটনার জেরে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে বেনাচিতি এলাকা।