
কৌশিক বসু,দুর্গাপুর : ডেঙ্গু দমনে বিশেষ উদ্যোগ দুর্গাপুর নগর নিগমের। শহরের ফাঁকা জমিতে জমছে ময়লা,জমছে জল। তৈরী হচ্ছে ডেঙ্গুর লার্ভা। তা পরিষ্কার করার দায়িত্ব অবশ্যই নগর নিগমের। কিন্তু সেক্ষেত্রে জমির মালিকদেরও দায়িত্ব থেকে যায়। ফলে এবার থেকে প্রথমে জমির মালিকদের সতর্ক করা হবে যাতে তারা ব্যবস্থা নেয়, নচেৎ করা হবে জরিমানা। সেই জরিমানার পরিমান ১২০০ স্কোয়ার ফুট জমিতে হবে ৩০০০/- । ওই জমিতে লোক নিয়ে যাওয়া,পরিষ্কার করা , ইত্যাদি খরচ বাবদ এই টাকা নেওয়া হবে , জানালেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখার্জী। এদিন নগর নিগমে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন , যে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত রুখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের নির্দেশ মতন এই সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছেন। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের নির্দেশানুযায়ী রাজ্যের সবকটি পৌরসভায় এই নির্দেশিকা পৌঁছে গেছে । সেখানে জরিমানার পরিমান ধার্য্য হয়েছে ন্যুনতম ১০০০/- টাকা ও সর্বাধিক ১ লক্ষ টাকা।

অনিন্দিতা মুখার্জী বলেন যে গত ৬ই মার্চ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জন্য সাফাইয়ের কাজ বিশেষ ভাবে শুরু হয়েছে। ওয়ার্ড পিছু ৩ জন করে সাফাই কর্মী , একজন স্প্রে কর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে। পরিদর্শন করার জন্য একজন করে পরিদর্শক নিযুক্ত করা হয়েছে। ৪৩ টি ওয়ার্ডের পরিদর্শনের জন্য র্যাপিড রেসপন্স টিম নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নগর নিগমের স্বাস্থ্য দপ্তর প্রতিটি ওয়ার্ডের রিস্ক জোন গুলির তালিকা তৈরী করেছে এবং “আশ্বাস” পোর্টালের মাধ্যমে তা আপলোডও করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্যা তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য(স্বাস্থ্য) রাখী তেওয়ারী জানান যে আমরা ডেঙ্গু রুখতে বদ্ধপরিকর। দুর্গাপুর নগর নিগম ডেঙ্গু রুখতে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তবে সাধারন মানুষ যদি আর একটু সচেতন হয় , তাহলে তাদের কাজটা আর একটু সহজ হয় বলে মন্তব্য করেন রাখী তেওয়ারী।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অনিন্দিতা মুখার্জী,রাখী তেওয়ারী সহ প্রশাসক বোর্ডের আর এক সদস্য ধর্মেন্দ্র যাদব ও ডা: দেবব্রত সাহানা।