
সৈয়দ মফিজুল হোদা,বাঁকুড়া:- স্বামীর সঙ্গ অনেকদিন ছেড়েছেন। স্বামীর দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিরোধী দলে। স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এবার সাংসদ স্বামীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সভামঞ্চে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গেল বিষ্ণুপুরের সাংসদ জায়া সুজাতাকে। শুধু স্বামীকে রাজনৈতিক আক্রমণই নয় স্বামীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রকাশ্য মঞ্চে সরব হলেন খোদ সুজাতা। যদিও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সাংসদ সৌমিত্র।
বাঁকুড়ার কোচডিহি গ্রামে বুধবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সম্মেলন ও প্রকাশ্য সভা করে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সেই একই জায়গায় পালটা সভা করে তৃনমূল। সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে উঠে সাংসদ স্বামী সৌমিত্রর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুজাতা। সুজাতা বলেন, “আমি ভেবেছিলাম সাংসদকে জিতিয়ে ভেবেছিলাম তিনি মানুষের কাজ করবেন। বুঝতে পারিনি তিনি দিল্লীতে রাসলীলা রঙ্গরসিয়া করবেন। স্ত্রী হিসাবে আমি আমার কর্তব্য করেছিলাম। আমি আমার স্বামীকে তৃনমূল ছাড়তে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু ভোটের মুখে দলবদল তার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে”। নিজের স্বামীকে প্রানী ও ভোটপাখি হিসাবে কটাক্ষ করে সুজাতা আরো বলেন, এই দলবদলু ধান্দাবাজ সাংসদ যখন আদালতের নির্দেশে নির্বাসিত ছিলেন তখন আমি স্ত্রী হিসাবে কর্তব্য করেছিলাম। ভেবেছিলাম তিনি মানুষের জন্য তিনি কাজ করবেন, মানুষ তাঁকে পাবে। কিন্তু তিনি ভোট এলেই আসেন, ভোট পেরোলেই তিনি চলে যান। এই ভোটপাখিকে নিজের এলাকায় ঢুকতে দেবেন না। যে নিজের বাড়ির স্ত্রীকে মর্যাদা দিতে পারেনা সে অন্যদেরও মর্যাদা দিতে পারেনা”। সুজাতা এদিন আরো বলেন, “আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে যখন সাংসদের সাথে থাকতে পারলাম না তখন নিজের দলবদলু ধান্দাবাজ চরিত্র লুকানোর জন্য চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে নাটক কান্না কেঁদে প্রকাশ্য টিভি মিডিয়ার সামনে আমাকে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন। এটাই বিজেপির চরিত্র। তারা নারীদের সম্মান দিতে জানে না”। সুজাতার এই বক্তব্য সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।