
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : বছরের শুরুতেই জনসাধারণকে উপহার হিসেবে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ উপহার দিয়েছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার অর্থাৎ১১ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে৷ চলবে টানা ৬০ দিন৷
২রা জানুয়ারি এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমেন্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এই কর্মসূচিতে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক ও পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের দুয়ারে বসে শুনবেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ, চাওয়া-পাওয়ার কথা৷ চাটাই পেতে হবে এই বৈঠক৷ সেই সঙ্গে গ্রামের মানুষের সঙ্গে এক আসনে বসে চলবে মধ্যাহ্নভোজন৷ পাশাপাশি চায়ের দোকানে বসে মানুষের সঙ্গে কথা বলা সহ জনসংযোগের একাধিক ধাপ এই পর্যায়ে থাকবে বলে জানা গিয়েছিল৷ পুরোদমে এই কর্মসূচিতে নামবেন তৃণমূলের সাড়ে ৩ লক্ষ নেতা-কর্মী৷ তারই বুধবার শুভ সূচনা৷
নেত্রীর সেই নির্দেশ মতোই দক্ষিণবঙ্গ ৬টি জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল৷ মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া জেলা দিয়েই শুরু হবে ঘাষফুল শিবিরের এই কর্মসূচি৷ ছয়টি জেলার মোট ৪৪টি ব্লকে কোনও নেতা-নেত্রী যাচ্ছেন তা দলের তরফে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে মঙ্গলবার ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের লেডিস পার্কে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ সেখানেই তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের দু’বারের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই এবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন করতে নামবেন তিনিও৷
জানা গিয়েছে, বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলায় ১০টি, নদিয়ায় ৫, হাওড়ার ৮ জায়গায়, হুগলির ৯ জায়গায়, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭ জায়গায়, পূর্ব বর্ধমানের ৫ জায়গায় ‘সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে জনতার দুয়ারে যাবেন দিদির দূতরা৷ তালিকায় রয়েছেন ২৩ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ, ৯ জেলা তৃণমূল সভাপতি ও ৭ জেলার চেয়ারম্যান৷ সেই সঙ্গে স্পেশাল ক্যাটাগরিতে থাকবেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ-সহ ৩ জন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ৫ জন। ১ জন জেলা মহিলা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। তৃণমূল কংগ্রেসের সাড়ে তিন লক্ষ ভলেন্টিয়র অ্যাক্টিভ হয়ে বাংলার ১০ কোটি মানুষ ও ২ কোটি হাউজ হোল্ডের কাছে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷