
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: প্রাতঃভ্রমণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের বিস্ফোরক বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। রাজ্য রাজনীতিতে এখন তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে উঠছে। এখন বঙ্গে প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই আবাস যোজনা ক্রমশ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসক দলকে। একাধিক দুর্নীতিতে শাসকদলের নাম জড়ানোয় বারবার বিজেপির কটাক্ষ মুখে পড়তে হচ্ছে এ রাজ্যের শাসক তথা তৃণমূলকে। এদিন আবারো মমতাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এরপরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
সম্প্রতি রাজ্য পেয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। চালু হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই ঘটেছে পরপর দুবার পাথর হামলার ঘটনা । এর পরেই রাজ্য সরকারকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। বন্দে ভারতের হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, নয়া ভারতের মোদিজীর স্বপ্নের প্রজেক্ট এই বন্দে ভারত। সবার একটা আবেগ বর্তমান। ফলে এরকম ঘটনায় আমরা সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ি। জানিনা রেল কাকে ধরেছে? কোথায় ধরেছে? কোন জায়গায় হয়েছে? বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন মতামত আসছে। যে ঘটনা যে রাজ্যেই হোক, সেই সরকারের দায়িত্ব এই ট্রেনটাকে রক্ষা করা।
ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত অভিযোগের উড়িয়ে দাবি করেছেন রাজ্যকে বদনাম করা হচ্ছে চক্রান্ত করা হচ্ছে , মমতার মন্তব্যের পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, উনি তো প্রথমে বলেছিলেন পুরানো ট্রেন রঙ করে চালিয়ে দিয়েছে। ওনার কথায় কেউ আস্থা রাখে? বিশ্বাস করে? উনি তো ওনার মতো কথা বলেন। সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরের ওপর ভিত্তি করে সবাই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
সম্প্রতি মিড ডে মিলে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত কুড়ি টাকা ধার্য করেছে। প্রতিনিয়ত মিড ডে মিলে মাংস রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কে প্রশ্ন করা হলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,
ভোট এলে মনে পড়ে। উনি এভাবেই সব ইলেকশন জিততে চান। এবার আর সেটা হবে না। ভোটের আগে মানুষের কষ্ট মনে পড়ে। অন্য সময় ভুলে যান, এটা বাংলার মানুষ ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছেন।এবার আর ভাওতাবাজি মানুষ মেনে নেবে না।