
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক, দুর্গাপুর : দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩। মৃতের নাম প্রশান্ত ঘোষ (৪৪)।
শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর এর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় গোপালমাঠের বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোষ নামে ওই শ্রমিকের। দুর্ঘটনায় পল্টু বাউরী ও গোপীরামের মৃত্যু হয়েছিল আগেই। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আরও এক শ্রমিক।
রবিবার, ২০শে নভেম্বর। কাজ চলাকালীন ফের দুর্ঘটনা ঘটে যায় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায়। তাতে সেদিনই মৃত্যু হয় পল্টু বাউড়ি নামে এক শ্রমিকের। গুরুতর জখম অবস্থায় আরও তিন শ্রমিককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তারমধ্যে, মঙ্গলবার ভোররাতে গোপী রাম (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, ওইদিন সকাল ১০:৪৫ নাগাদ কারখানার (পেরমানেন্ত ওয়ায় এংিনেএরিং বিভাগে) ২নং ব্লাস্ট ফার্নেসে স্ল্যাগ ভর্তি হট ল্যাডেল এর লক পিন খুলে স্ল্যাগ ছিটকে যায়। সেই সময় ওই রাস্তার উপরেই রেললাইন রিপেয়ার করছিলেন বেশ কয়েকজন ঠিকা শ্রমিক। দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ ঠিকা শ্রমিকের।
ঘটনার পর স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক ও ট্রাফিক বিভাগের দুই জেনারেল ম্যানেজার
গৌতম বিষয়ী ও
কমল গায়েনকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে সেইল কর্তৃপক্ষ। কেন এমনটা ঘটলো? তা জানতে কমিটি গঠন করে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।
বলাই বাহুল্য, ইস্পাত কারখানায় এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই ফার্নেসে বিস্ফোরণ ঘটে। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি, অগ্নিকাণ্ড ঘটে। শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন হয়। শ্রমিক মৃত্যু নিয়ে শিল্পশহর জুড়ে তোলপাড় হয়। তবুও এই পরিস্থিতির কোনো বদল হয়নি।