
৯৯বাংলা নিউজ ডেস্ক: বুধবারে লাল শিবিরের তরফ থেকে গাইঘাটা বিডিও অফিসে আবাস যোজনা নিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। সেই সময়েই দলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি অনুষ্ঠানের।এই মঞ্চেই বক্তৃতা দেন সিপিএম দলকর্মী তন্ময় ভট্টাচার্য। বক্তৃতা দেওয়ার সময়েই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের রেশন কার্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দেশের একজন সাংসদ হয়েও কিভাবে তাঁর PHH রেশন কার্ড থাকতে পারে প্রশ্নই সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।
গেরুরা শিবির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নামে রয়েছে পি এইচ এইচ শ্রেণিভুক্ত কার্ড অর্থাৎ Priority Household Ration card থাকা উপভোক্তারাও মাথাপিছু পাবেন বিনামূল্যে ৩ কেজি চাল,১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা বা ২ কেজি গম। ডেপুটেশন মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বনগাঁ সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের রেশন কার্ডের নাম্বার উল্লেখ করে বিডিও-র উদ্দেশ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একটা নাম্বার বলছি বিডিও সাহেব শুনুন। এই কথা বলে রেশন কার্ডের নাম্বার উল্লেখ করে তিনি বলেন এই রেশন কার্ডটি PHH শ্রেণিভুক্ত যা একজন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তারপরেই তিনি জানতে চান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কি করে এই কার্ড ব্যবহার করেন।” আর কতদুর এইভাবে লুঠ চলবে এই প্রশ্নও তোলেন। তবে পাল্টা জবাবও দিয়েছেন শান্তুনু ঠাকুর। বলেছেন, “লুঠ তো ওরাও ৩৪ বছর ধরে করেছেন যার জন্য ওদের আজ এই দশা।” বিজেপি সাংসদ বলেছেন তিনি দেখেন নি তাঁর নামে কি রেশন কার্ড রয়েছে। তবে তাঁর মা রেশন তোলেন বলেই জানিয়েছেন। সঙ্গে এটাও বলেছেন তাঁর মা কোনও নেতা বা মন্ত্রী নন এবং তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব নয় তাঁর রেশন কার্ড কোন শ্রেণীর।আর এই ধরনের অনেক ভুল রয়েছে বলেও জানান বনগাঁর বিজেপি সাংসদ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, তারা জানতে পেরেছেন শান্তনু ঠাকুর সহ তার পরিবারের কয়েকজনের PHH কার্ড রয়েছে। তাদের উচিত ছিল এই কার্ডগুলিকে ফিরিয়ে দেওয়া। বিজেপি নেতার পরিবার সেই কাজ করেনি বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। এইসব নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।