
২৪ ঘন্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টে জামিন নাকচ হয়েছে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপরই বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হলো অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ আসানসোল জেল থেকে তাকে আসানসোল আদালতে পুলিশ নিয়ে আসে। তারপর কিছুক্ষুন পরে আদালতে আসেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা।
জানা গেছে, এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে করবেন না। তার পরিবর্তে সিবিআই গত ১৪ দিনের কি রিপোর্ট কেস ডায়েরি আকারে আদালতে পেশ করে, তা দেখতে চাইছেন তার আইনজীবীরা। তারপরেই তারা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে পারেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, এদিন গত ১৪ দিনের তথ্য বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে জমা দেওয়া হবে।
তবে এদিনের একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বীরভূমের তৃণমুল কংগ্রেসের কোন নেতাদেরকে আদালতে দেখা যায়নি। এর আগে বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় পুলিশ হেপাজতে থাকায় গত ২২ ডিসেম্বর আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে হাজির করানো যায় নি। সেই কারনে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে গরু পাচার মামলায় শুনানি হয়নি। ১৪ দিন পরেআগামী ৫ জানুয়ারি এর শুনানি হবে বলে এডিজে ( প্রথম) এদিন নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ, গত ১৯ ডিসেম্বর বীরভূম জেলা পুলিশের দুবরাজপুর থানার পুলিশ ২০২১ সালে বিধান সভা নির্বাচনের আগে দলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে হওয়া একটি মামলায় আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে যায়। সেখানকার আদালত তাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগষ্ট সিবিআই গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করছিলো। তিনি ১৪ দিন দুদফায় সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন। তারপর গত ২৪ আগষ্ট থেকে অনুব্রত মন্ডল আসানসোলে জেলে রয়েছেন। এরপর বেশ কয়েকবার সিবিআইয়ের অফিসাররা জেলে গিয়ে তাকে জেরা করেছেন। গত ১৭ নভেম্বর ইডির অফিসাররাও জেলে গিয়ে তাকে ৫ ঘন্টা জেরা করেছিলেন। জেরায় সহযোগিতা না করায় ইডি তাকে শোন এ্যারেষ্ট করে দিল্লি নিয়ে যেতে চায়। দিল্লির রাউস কোর্ট থেকে তার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছিলো। কিন্তু তারই মধ্যে দুবরাজপুর পুলিশ তাকে অন্য মামলায় নিজেদের হেফাজতে নেওয়ায় ইডি সেই নির্দেশ কার্যকর করতে পারেনি। যদিও বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট সেই প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি হবে।