
কৌশিক বসু , দুর্গাপুর : কেন্দ্রীয় ন্যাচারাল গ্যাস কমিশনের নির্দেশ মেনে সিএনজি চালিত গাড়িগুলির ক্ষেত্রে নিয়ম রয়েছে প্রতি তিন বছর অন্তর সিএনজি ট্যাংক পরিষ্কার করাতে হবে এবং তার শংসাপত্র নিতে হবে। নতুবা এই ফিলিং ট্যাংক বা সিলিন্ডার গুলিতে বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। এই ট্যাংক পরিষ্কার ও তার শংসাপত্র মেলে আসানসোলের চাঁদা মোড়ে। কিন্তু দুর্গাপুরের অটোচালকরা জাতীয় সড়ক ব্যবহার করে চাঁদা মোড় যেতে নারাজ। তাদের যুক্তি জাতীয় সড়কে অটো চালানোর অনুমতি নেই এবং জাতীয় সড়কে অটো নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে শংসাপত্র না থাকায় সিএনজি পাম্পগুলি দুর্গাপুরে আজ শুক্রবার সকাল থেকে সিএনজি দেওয়া বন্ধ করেছে। ফলে ব্যাপক সমস্যায় অটো চালকরা। এক অটোচালক প্রকাশ রায় জানাচ্ছেন যে অবিলম্বে ট্যাংক পরিষ্কার ও তার শংসাপত্র দুর্গাপুরে দেওয়ার ব্যবস্থা হোক। এদিন সকালে সিএনজি না পাওয়ায় দুর্গাপুরে কবিগুরুর মহিলা পরিচালিত পেট্রোল পাম্পে বিক্ষোভ দেখায় অটো চালকরা। অটো না চালাতে পারলে সংসারে টান পড়বে, ফলে অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানায় অটোচালকরা।

যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাম্প কর্তৃপক্ষ আগামী পাঁচ দিনের জন্য বিনা শংসাপত্রতেই সিএনজি দেওয়ার অতিরিক্ত ছাড় দিয়েছে। অটোচালকরা এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছে।তাদের দাবী দুর্গাপুরে হাজারেরও বেশি সিএনজি বা প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত অটো ,পুল কার ও গাড়ী রয়েছে।এই ক্লিনিং ও শংসাপত্রের ব্যবস্থা দুর্গাপুর শহরে হলে প্রত্যেকের সুবিধা হবে ।