
দিব্যেন্দু ঘোষ, গোঘাট,৯৯ বাংলা নিউজ: মৃতদেহ আসলেই স্কুলের ছুটির ঘন্টা পড়ে । প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলের পাশেই রয়েছে শ্মাশান। গত ১০০ বছর ধরে চলে আসছে এই অবব্যবস্থা। এমনই চিত্র দেখা গেল গোঘাটের পাতুলসাড়া এলাকায়।পাড়ায় কেউ মারা গেলে, জানিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের শিক্ষকদের। ঘোষিত হয় ছুটি। ৩০ থেকে ৪০ টি পরিবার দাহকার্য করে এই শ্মাশানে।
জীবন- মৃত্যুর এক কঠিন সত্যি জুড়ে আছে আমাদের জীবন। জন্ম, বড় হওয়া, তারপর একদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া। এক চিরন্তর সত্য, যার মুখমুখি হতে ভয় পাই আমরা সবাই। কিন্তু প্রাথমিক স্কুলের খুদের প্রায়শই প্রত্যক্ষ করতে হয়। স্কুলের পাশেই মহা শশ্মান। দেহ সৎকারের জন্য এলেই ছুটি দিতে হয় স্কুল। ধোঁয়ার গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রীরা বাধ্য হয়েই ছুটি দিতে হয় স্কুল। এ বিষয়ে অভিভাবকরা বলেন,ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না ছোট পড়ুয়ারা। চোখের সামনে দেখতে পায়, চিতায় জ্বলছে মরদেহ। এক স্থানীয় অভিভাবকের দাবি,বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না।ভয় পায় ওরা। ‘মা যদি ভুতে ধরে, স্কুলে যাবো না – বলে ওঠে অসহায় শিশুরা। বাচ্ছাদের মনে একটা আতঙ্ক কাজ করে। তাই আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। তবে এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, প্রায় বিগত কয়েক বছর ধরেই একইভাবে চলে আসছে। যখনই শবদাহ আসে তখনই বাচ্চারা ভয় পায়। তারপরেই আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে স্কুল ছুটির ব্যবস্থা করি। এভাবেই চলে আসছে।স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি।
এ বিষয়ে কুমুড়সা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানান বিষয়টি অনেকদিন থেকেই নজরে আছে। জিনিসটা সত্যিই খুব খারাপ লাগে আমরা বি ডিও সহ প্রশাসনকে জানিয়েছি। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলে তিনি জানান। তবে যাতে স্থায়ী কোনো চুল্লির ব্যবস্থা করা যায় বা শ্মশান অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করবে বলেও তিনি জানান