
৯৯ বাংলা, নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি । শাসক দলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নিতে হবে? তার উপায় বাতলে দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন বাঁকুড়ার বড়জোড়া হাই স্কুলের একটি মাঠে সভা ছিল বিজেপির। সেখানেই শাসক দলকে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ। তার মন্তব্য ঘিরেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
এদিন বড়জোড়ার সভা থেকে সৌমিত্র বলেন, আমরা পঞ্চায়েতের জন্য তৈরি। প্রত্যেকে ডান্ডা রাখবেন। যে দিন নমিনেশন করতে আসব, সেদিন তৃণমূলের নেতারা দাঁড়িয়ে থাকলে ডান্ডা মেরে মাথাগুলো ফাটিয়ে দেব। যদি আমাদের আটকাতে আসে। একইসঙ্গে শাসক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে সৌমিত্রর বার্তা, তৃণমূলের নেতাদের বলি, দাদাগিরি করবেন না। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, কেষ্ট মণ্ডল জেলে রয়েছেন। শুভেন্দুর এই বক্তব্য রাখার সময় তাঁর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এর আগেও একাধিকবার কটু কথা শোনা গেছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী উভয় এর গলাতেই। তবে বিজেপি সংসদের গলায় ডান্ডা মারার নিদান নিয়ে বাড়ছে বিতর্ক। সৌমিত্র সুর চড়াই রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দিকে । বিস্ফোরক দাবি করেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক শুভেন্দুর পায়ে পড়ছে৷ বলছে, আমাদের বাঁচান! তবে কয়লা পাচারের অভিযোগ থেকে বাঁচতেই এখন বিরোধী দলনেতার শরণাপন্ন হচ্ছেন আইনমন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করতে পিছপা হননি সৌমিত্র। দাবি করলেন, ‘‘মোদীজীকে তাঁর কাজের জন্য ৫০ বছর পরেও দেশের মানুষ পুজো করবেন৷ এ রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এদিন বহুবার সুর চড়াতে শোনা গেছে বিষ্ণুপুরের সাংসদের গলায়।