
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : আগাম ২৪ সালের লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলেন অমিত শাহ।২৪’এর নির্বাচনেই কেন্দ্র পুনরায় ক্ষমতা দখল করার জন্য এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। রাজ্য রাজ্যে সফরে গিয়ে প্রচার শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যে আসনগুলিতে এবং রাজ্যে বিজেপি পিছিয়ে রয়েছে সেই জায়গাগুলিকেই বিশেষ নজর দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
অবিজেপি শাসিত রাজ্যে ঝাড়খণ্ডে এবার পদ্ম ফোটার বার্তা দিয়ে এলেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযোগ করেছেন যে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতাসীন হেমন্ত সোরেন সরকার হাঁটু-গভীর দুর্নীতিতে রয়েছে। তার পরেই তিনি রাজ্যের মানুষকে আশ্বাস দিয়েছেন যে বিজেপির প্রতীক পদ্ম রাজ্যে ফুটবে ২০২৪ সালে যখন রাজ্যে নির্বাচন হবে। ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন সরকারকে কটাক্ষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সরকার হাঁটু পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে আছে। হেমন্ত সোরেন রাজ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। যদিও সোরেন নিজে একজন আদিবাসী, এই সরকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে। হেমন্ত সোরেন আসল রূপ উন্মোচিত হয়েছে। আদিবাসীরা তাঁকে ক্ষমা করবে না।” শনিবার ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় বিজয় সংকল্প মহারালিতে অমিত শাহ বক্তব্য রাখার সময় এই মন্তব্য করেছেন।
এখানেই শেষ নয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও অভিযোগ করে বলেছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা আদিবাসী মহিলাদের জোর করে বিয়ে করছে এবং তাদের জমি দখল করছে এবং হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড সরকার তাঁদের জন্য কিছুই করছে না। শাহের কথায়, “বিজেপি আদিবাসী সমাজের স্বার্থ রক্ষার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছে, অন্যদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত হেমন্ত সোরেন সরকার দলিত-আদিবাসী বোনদের রক্ষা না করে ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করছে।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুমকা হত্যা ও সাহেবগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের জন্য সোরেনের সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। বলাই বাহুল্য যে, কয়লা দুর্নীতি মামলা নিয়ে গত বছরেই ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার চেষ্টা করেছিল। তবে সেই কাজে সফল হয়নি। আস্থা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করেন। তবে রাজ্য দখলের জন্য হাল ছাড়তে নারাজ বিজেপি।
অপর দিকে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি করছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের একাধিক নেতা গত কয়েক মাসে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছেন। তবে, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রামশের দাবি রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। মতাদর্শ প্রচারই তাঁদের লক্ষ্যে।