
কৌশিক বসু,দুর্গাপুর : দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের জমিতে অবৈধভাবে তৈরি বস্তি ও দোকান ঘর উচ্ছেদের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভে শামিল হল ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নগর প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির আসানসোল জেলা উদ্বাস্তু সেলের কর্মী সমর্থকেরা। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল জেলা সভাপতি দিলীপ দে সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। ইস্পাত কলোনির ইসকন মন্দির থেকে নগর প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। উদ্বাস্তু সেলের জেলা আহ্বায়ক কৃষ্ণ মাল দুর্গাপুর ইস্পাতের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি দাবি তোলেন, উচ্ছেদ করার আগে দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক। তার বক্তব্য দুর্গাপুর ইস্পাতের কয়েক হাজার অস্থায়ী শ্রমিক এই বস্তিতে বসবাস করে। তাহলে দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ সেই সব অস্থায়ী শ্রমিকদের আবাসন দিক, দাবি উদ্বাস্তু সেলের নেতার।

কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন এক সংস্থার বিরুদ্ধে বিজেপির এই বিক্ষোভ কার্যত নজিরবিহীন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বহু জমি খালি পড়ে রয়েছে। সেখানে দিনের পর দিন গজিয়ে উঠছে বস্তি। বিগত কয়েকদিনে জমি পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই পথে নামল বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। অবিলম্বে সিদ্ধান্ত না পাল্টালে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি বিক্ষোভকারীদের। এদিন দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষকে একটি স্মারকলিপি পেশ করে উদ্বাস্তু সেলের নেতৃত্ব।

গোটা ঘটনাটিকে নাটক আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা রাজীব ঘোষ বলেন নির্বাচন আসছে, তাই নাটক করছে বিজেপি। তিনি বলেন , যারা বৈধভাবে বসবাস করছে,রাজ্য সরকার তাদের জমির পাট্টা দিচ্ছে। তবে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জমি দখল করে অনেকে ব্যবসা চালাচ্ছে। ইস্পাত কর্তৃপক্ষ যদি এদের জন্য একটা স্ট্রিম লাইন বেঁধে দেয় তাহলে সরকারি ট্যাক্স দিয়ে তারা ব্যবসা করতে পারে। তিনি বলেন অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করছে এটা তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য তৃণমূল নেতার।
অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার এই আন্দোলনকে গিমিক আখ্যা দিলেন। বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ কে কটাক্ষ করে বলেন,”বিজেপি বিক্ষোভ না করে আলুজির (সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া) সাথে কথা বললে পারতো, উনি সিইও র সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে পারতেন, কিন্তু উনাকে তো পাওয়াই যায় না। রাজ্য সরকার ও উদ্বাস্তুদের ব্যাপারে উদাসীন, সে কারণে বহু আগেই বর্ধমান জেলা ভাগ হওয়ার পরে এখনো পশ্চিম বর্ধমান জেলার উদ্বাস্তু সেলের আলমারি পূর্ব বর্ধমান এ পড়ে রয়েছে ,কটাক্ষ সিপিআইএম নেতার।