
৯৯বাংলা নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন বছর আগে এমন শীতেই শোনা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের খবর। করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7 যা গোটা বিশ্বের কাছেই নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। এমনকি ভারতেও মিলেছে ভাইরাসের হদিস। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় সেই কারণে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। করা হচ্ছে বিদেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা। এই মধ্যেই একটি খবর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। যাকে ঘিরে ফের বেড়েছে চিন্তা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বুধবার বলেছেন যে ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট, BF.7-এর উপস্থিতি মিলেছে বিদেশ ফেরত বেশ কয়েকজন যাত্রীর মধ্যে। ভারতে আসা ২০০ জন যাত্রী যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টেই নয়া ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি মিলেছে। শুরু থেকেই চিনে জারি করা হয়েছিল ‘জিরো কোভিড’ নীতি। এই তিন বছরে করোনার গ্রাফ কখনও ঊর্ধ্বমুখী আবার কখনও নিম্নমুখী হয়েছে। এ বছর আবার চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন বিএফ.৭। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়েছেন যে ভয়ের কিছু নেই কারণ ভারতে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে যেটা কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ আন্তর্জাতিক বিমানে করে ভারতে এসেছেন। তাঁদের স্ক্রীনিং করার পর ২০০ জনকে করোনায় আক্রান্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৯ জানুয়ারী বলেছিল যে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে ৩২৪টি কোভিড-পজিটিভ নমুনার সেন্টিনেল-সিকোয়েন্সিং-এর পর ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের উপস্থিতি প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে BA.2, BA.2.75, XBB(37), BQ.1 এবং BQ.1.1(5) সহ আরও কয়েকটি প্রজাতি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছিল যে অঞ্চলগুলিতে এই রূপগুলি সনাক্ত করা হয়েছিল সেখানে কোনও মৃত্যু বা সংক্রমণের বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার কনস্টিটিউশন ক্লাবে “ব্রেভিং এ ভাইরাল স্টর্ম” শিরোনামের একটি বই প্রকাশ করেছেন যা আশীষ চান্দরকার এবং সুরজ সুধীর লিখেছেন। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই এই তথ্য জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বিএফ.৭-এ সংক্রমিত একজন রোগী একসঙ্গে ১৮-২০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ভারতে যদি এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করে তাহলে এটি দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের থেকে বড় আকার ধারণ করবে। যদিও, এই উপজাতির মারণ ক্ষমতা কম। ভারতেও চারজন রোগীই এখন সুস্থ। কিন্তু তবু চিন্তা রয়ে যাচ্ছে। তাই মাস্ক পরার ও ভিড় জায়গা এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।