
কৌশিক বসু,দুর্গাপুর : বিশপ লেফ্রয় রোডের দীর্ঘদেহী বাসিন্দা আজ যদি বেঁচে থাকতেন , তাহলে নিশ্চিত গর্বিত হতেন তাঁকে ঘিরে এই কর্মকান্ডে। ১০৩ তম জন্মদিনে বাঙলার “মানিক” এর অমর সৃষ্টি এবার শিল্পশহরে। কলকাতা সহ ৮ টি জেলায় রেস্তোঁরা চেন ” ভুতের রাজা দিল বর” এর সফল রূপায়নের পর এবার শিল্প শহর দুর্গাপুরে বাঙ্গালীর রসনা তৃপ্তির জন্য এসে গেল। সত্যজিত রায়ের জন্মদিবসেই দুর্গাপুরের সত্যজিত সরনীতে উদ্বোধন হয়ে গেল আদ্যন্ত বাঙ্গালী খানার এই রেস্তোঁরা। রেস্তোঁরায় ঢুকতেই ভুতের আমন্ত্রন ! হীরক রাজার দেশের ছোঁয়া সর্বত্র। বাঙ্গালীয়ানা ও বাঙ্গালীর গর্ব “মানিক” সাহেবের নানান কর্মকান্ড গোটা রেস্তোঁরা ঘিরে। খাবারের স্বাদের পাশাপাশি নস্টালজিয়ার মেলবন্ধন এক অন্য আমেজের আবেশ আনে , যা শিল্পশহরে একেবারে আনকোরা। কলকাতার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজীব পালের উদ্যোগে এই রেস্তোঁরা চেনের শুভ উদ্বোধন হল মঙ্গলবার , সিটি সেন্টারের ডক্টরস কলোনীতে। আদ্যপ্রান্ত বাঙ্গালী খানায় মজবে এবার দুর্গাপুরবাসী , এই অঙ্গীকার উদ্যোক্তাদের। গোটা বাংলা জুড়ে ভুতের রাজা দিল বর , দুর্গাপুরে এসে শুধুই “অদ্ভুত” , জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু কি এই অদ্ভুত , তা জানতে গেলে একবার আসতেই হবে সিটি সেন্টারের এই রেস্তোঁরায়।

রেস্তোঁরার উদ্বোধনও হল বিশেষ চমকে। এক শিল্পী উদাত্ত কন্ঠে গাইলেন ” আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে “। নাহ , এভাবে কোন রেস্তোঁরার উদ্বোধন শিল্পশহর অন্তত এযাবৎকাল প্রত্যক্ষ করেনি। ফিতে কেটে উদ্বোধন , কেক কাটা সবই হল। রেস্তোঁরায় বিশাল হীরক রাজার প্রতিকৃতিকে ঘিরে সেল্ফি তুলে কিংবদন্তীকে শ্রদ্ধা জানালো নগরবাসী , সঙ্গে অবশ্যই ছিল ভুতেরা। নামের মাহাত্ম নাকি রকমারী মশলার গুনে রান্নার মাহাত্ম, কে জিতবে , তা বিচার করবে মানুষ। তবে আগাগোড়া বাঙ্গালী রসনার এই রেস্তোঁরা যে আগামী দিনে দুর্গাপুরের ডেস্টিনি হতে চলেছে , তা বলাই বাহুল্য।
