
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সাতসকালে ড্রেন পরিষ্কার করছিলেন পূর্ণিমা হাড়ি৷ ইনি একজন পুরসভার সাফাই কর্মী৷ বাঁশে করে নালার ময়লা ঠেলতে গিয়ে দেখেন প্লাস্টিকে ভেতরে কি যেন একটা রয়েছে।প্লাস্টিক খুলতেই বেরিয়ে এল তাজা বন্দুক। বন্দুক দেখে হতচকিত হলেন পূর্ণিমা৷ ঘটনাটি ঘটেছে, বাঁকুড়া শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ময়রাবাঁধ এলাকা৷
সাত সকালে বন্দুক উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাল পুলিশ। সারা শরীর জুড়ে কপ্পন তার। যতটা না ঠাণ্ডার কারণে, তার চেয়ে বেশি পুলিশ দেখে- বলছেন স্থানীয়রা৷ কারণ, এই সেই জঙ্গলমহল৷ একসময় পাখির ডাক ভুলে গুলি, বারুদের শব্দে যে এলাকা প্রতিদিন জেগে উঠতো! ২০০৮-১০, টানা অবরুদ্ধ জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা তাই আজও বন্দুকের নাম শুনলেই চমকে ওঠেন৷ এক লহমায় স্মৃতিতে ভিড় করে হাজারও ঘুম ওড়ানো স্মৃতি৷
এই প্রসঙ্গেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত সকালে বন্দুক দেখে বুক কেঁপে উঠার অবস্থা তাদের। এই ধরণের ঘটনা আর দেখতে অভ্যস্ত নয় তারা, তবে এটি শান্তিপ্রিয় পাড়া। নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেটা পুলিশ প্রশাসনে খুঁটিয়ে দেখা হোক।
ইতিমধ্যেই পুলিশ বন্দুকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে৷ কীভাবে, কার হাত ধরে এক নলা বন্দুকটি জঙ্গলমহলের নালায় এল, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশমহল ৷