
৯৯ বাংলা ডেস্ক : কুল ছাড়া বাগদেবীর আরাধনা সম্পূর্ণ। অবশেষে কুল চাই-ই-চাই। তবে এখন আর তেমন নারকেল কুলের দেখা মিলছে না। তার জায়গায় বাজার মাতাচ্ছে আপেল কুল। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী, কেতুগ্রাম, রায়নার অনেক চাষিই প্রথাগত চাষ ছেড়ে এই আপেল কুলের চাষ করছেন। এই বিকল্প চাষে মোটা টাকা আয় হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। সরস্বতী পুজোয় এই কুলের ভাল চাহিদাও রয়েছে। বর্ধমান, কালনা, কাটোয়ার বাজারে মিলছে জেলায় উৎপাদিত এই কুল।
সরস্বতী পুজোর আগে কাটোয়ার বাজার মাতাচ্ছে থাইল্যান্ডের সেই আপেল কুল। কেতুগ্রামে এবার থাইল্যান্ডের এই আপেল কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। পাঁচ বিঘা জমিতে এই কুলের চাষ করে লক্ষাধিক টাকা আয়ের পথ দেখাচ্ছেন এক চাষি। গতানুগতিক চাষ থেকে বেরিয়ে পতিত জমিতেই থাইল্যান্ডের আপেল কুল চাষ করে বছরে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন কৃষকরা। তাই এবার উদ্যান পালন দফতরের সহযোগিতায় বিদেশি আপেল কুল চাষে চাষিদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এ রাজ্যের চাষিরা বিদেশি আপেল কুল চাষ শুরু করেছেন। ছোট ছোট আপেলের মতো দেখতে বলে এর নাম হয়েছে আপেল কুল। খন্ডঘোষ, পূর্বস্থলীতেও আপেল কুলের চাষ বাড়ছে।
কাটোয়া মহকুমা কৃষিদফতরের আধিকারিক প্রলয় ঘোষ বলেন, গতানুগতিক চাষ ছেড়ে চাষিদের বেরিয়ে এসে এই ধরনের ব্যতিক্রমী চাষ করলে ভাল আয়ের সুযোগ থাকছে। এই মরশুমি ফলটি থাইল্যান্ডে পাওয়া যায়। এটি ভারতের জলবায়ুর জন্য বেশ অনুকূল বলে মনে করা হয়। এই ফলটি ভারতীয় কুলের থেকে কিছুটা বড়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সব আবহাওয়াতেই কুল হলেও শুষ্ক ও গরম আবহাওয়াতে ফলন ভাল হয়। শীতের কুয়াশা ও প্রচণ্ড দাবদাহ সহ্য করার ক্ষমতা থাকায় এ রাজ্যের খরা প্রবণ বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও এই কুল চাষ সম্ভব। শিকড় গভীরে যায় বলে প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারে কুলগাছ। এ রাজ্যে এই কুলের চাষ করে আর্থিকভাবে বিশেষ লাভবান হতে পারেন কৃষকরা।