
৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।নতুন বছরের প্রথম হাজিরাতেও মিলল না জামিন।আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। ওইদিনই গরু পাচার মামলায় আবারও আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
জেল হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। পরনে ছিল সবুজ রংয়ের পাঞ্জাবি। আদালতে ঢোকা কিংবা বেরনোর সময় তেমন কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এদিন আদালতে জামিনের আবেদন জানাননি অনুব্রতর আইনজীবী।
তবে সিবিআই আধিকারিক বিচারকের হাতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। সম্প্রতি সিউড়ির কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা প্রায় ১৭৭টি ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্টের হদিশ পান আধিকারিকরা। এমনকী এক ব্যক্তির নামে ২০০টির মতো ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্টের খোঁজ পায় সিবিআই। ওই অ্যাকাউন্টগুলি কোভিডকালে খোলা হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ১৭৭টি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের স্পষ্ট যোগসূত্র রয়েছে বলেই মনে করছে সিবিআই। তাই এই পরিস্থিতিতে অনুব্রত জামিনে ছাড়া পেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে বলেই আশঙ্কা তদন্তকারী সংস্থার। বিচারকের কাছে তাই গরু পাচার মামলায় ধৃত দাপুটে তৃণমূল নেতার জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। শেষমেশ আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপর ইডি’র নজরে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরার পর গত ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে ইডি।