
নম্রতা সামন্ত, ৯৯ বাংলা নিউজ ডেস্ক : সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমান সময়ের আলোচিত ও মর্মস্পর্শী ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় প্রতিদিন হারিয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষ, ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে হাজারো স্বপ্ন। সেই কারণেই প্রতিটি রাজ্যের সরকার ট্রাফিক নিয়ম নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। জনগণকে সচেতন করতে সচেতনতামূলক প্রচারও চালানো হচ্ছে, তা সত্ত্বেও মানুষ ট্রাফিক নিয়ম মানছে না। প্রতিনিয়ত কিছু লোক অজান্তে ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে, আবার কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করে।
যে ট্রাফিক নিয়ম অনুযায়ী মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। সবাইকে সচেতন করা সত্ত্বেও, মানুষ হেলমেট পরে না। নিয়ম অনুসারে, হেলমেট না পরার জন্য ১০০০ টাকা পর্যন্ত চালান দিতে হয়। কিন্তু অনেকবার এমনও হয় যে, হেলমেট পরা সত্ত্বেও চালান কাটা যায়? নতুন নিয়মের সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানুন..
এমন অনেকেই থাকেন যারা হেলমেট তো পরেন, কিন্তু পরার সঠিক উপায় জানেন না। সঠিক উপায়ে হেলমেট পরলেই আপনার পকেটের টাকা বাঁচবে,আপনি ও আপনার পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে। সঠিকভাবে হেলমেট না পরলেই পুলিশ মোটা টাকা চালান জারি করতে পারে। সঠিক উপায়ে হেলমেট না পরলে 194D MVA-এর অধীনে চালান কাটা হবে। সঠিকভাবে হেলমেট পরুন, নয়তো ১০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে।
কিছু লোক হেলমেট পরেন, কিন্তু এর স্ট্র্যাপ খোলা থাকে। আসলে হেলমেটের গলার নিচে স্ট্র্যাপ বাঁধা খুবই জরুরি। এটি করতে ব্যর্থ হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্ট্র্যাপ খোলা থাকলে হেলমেট চালকের মাথা রক্ষা করতে পারবে না। কারণ দুর্ঘটনা ঘটলে তা মাথা থেকে পড়ে যাবে। ফলে মাথায় গুরুতর আঘাত লাগতে পারে, চালকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই হেলমেট পরার পাশাপাশি স্ট্র্যাপ অবশ্যই আটকে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত , সড়ক দুর্ঘটনা মানবঘাতক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের সুনাম ও সুখ্যাতি ব্যাপকভাবে অগ্রগামী। তবে এই সুনাম আর সুখ্যাতিকে মলিন করে দিচ্ছে দেশের সড়ক দুর্ঘটনা।এমন কোনোদিন নেই, এমন কোনো সময় নেই-যে দিনে বা সময়ে আমাদের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে না। সড়ক ও মহাসড়কে আহতদের আর্তনাদ আর নিহতদের পরিবার-পরিজনের কান্না মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চালানো, আইন উচ্ছেদ ইত্যাদি। সড়কে সড়কে আর কোনো দুর্ঘটনা কিংবা লাশ নয়-আমরা চাই শতভাগ নিরাপদ সড়ক।