
৯৯ ডিজিটাল ডেস্ক, পুরুলিয়া : ঝালদা পৌরসভার অনাস্থার পক্ষে থাকা তৃণমূল ত্যাগী কাউন্সিলর শিলা চ্যাটার্জীর স্বামীর বিড়ি কারখানায় হানা দিল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা।
‘এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, উচ্চ আদালতে জানাব’, বললেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো।
সদ্য তৃণমূল দল ত্যাগ করেছেন ঝালদার নির্দল কাউন্সিলর শিলা চ্যাটার্জী। এবার তাঁরই স্বামীর বিড়ি কারখানায় হানা দিল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝালদা রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই এমন করা হয়েছে, বিষয়টি উচ্চ আদালতে জানাব; মন্তব্য করেছেন পুরুলিয়া জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো।
ঝালদা শহরের সিসি হালদার রোডে শিলা চ্যাটার্জীর স্বামী কালীপদ চ্যাটার্জীর বিড়ি কারখানা রয়েছে। সেই কারখানাতেই মাদক দ্রব্য মজুত রয়েছে, এমন খবর পেয়ে হানা দেন পুরুলিয়া জেলা দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষন তল্লাশি চালানোর পর কিছু না পেয়ে তদন্তকারী আধিকারিকরা ফিরে যান।
এবিষয়ে কারখানার মালিক তথা নির্দল কাউন্সিলর শিলা চ্যাটার্জির স্বামী কালীপদ চ্যাটার্জি জানান, আজ তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ফোনে পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু কি হয়েছে, কেন হয়েছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না, মন্তব্য তার। এমনকি তাকে কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১২ টি আসন বিশিষ্ট বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় এবার জয়ী হন তৃণমূলের ৫ জন, কংগ্রেসের ৫ জন ও নির্দলের ২ কাউন্সিলর। ফলপ্রকাশের পর নির্দল কাউন্সিলর শিলা চ্যাটার্জি তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে নির্দলকে সাথে নিয়ে ঝালদায় পৌরবোর্ড দখল করে তৃণমূল। কিন্তু, হঠাৎ দিন কয়েক আগে উন্নয়ন হচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলে শিলা চ্যাটার্জী তৃণমূল ত্যাগ করে করেন। বর্তমানে কংগ্রেসের আনা অনাস্থার পক্ষে রয়েছেন তিনি। তাহলে কি এই কারণে শাসকদলের ইশারায় এমন পুলিশি হানা? এমন প্রশ্নের উত্তরে কালীপদবাবু বলেন, মনে হয় না তৃণমূল এমন জঘন্য কাজ করবে। কারন উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেননি তাই ফিরে এসেছেন।
যদিও জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো গোটা ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই এমন করা হয়েছে। তৃণমূলের ইশারায় হচ্ছে এমন কাজ। পুলিশ কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য নিয়ম রয়েছে নিয়ম। নিয়মের পরোয়া না করে বিড়ি কারখানায় হানা দিয়ে তদন্তের নামে ভয় দেখিয়ে চলে গেল পুলিশ। ভাগ্যিস কালিপদবাবু ছিলেন না কারখানায়। তা না হলে গাঁজা রাখার নামে কেস দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যেতেন, আশঙ্কা প্রকাশ তাঁর। পুরো বিষয়টি আদালতে জানানো হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
এই ঘটনার জেরে তলবি সভার আগে অস্বস্তি বাড়ল ঝালদা তৃণমূল নেতৃত্বের, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।